কলকাতা পুরসভার কোনো আর্থিক সাহায্য নেবে না বিদ্যুত্স্পৃষ্ট ঋষভের পরিবার
রাজভবনের সামনে বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে ফরাক্কার বাসিন্দা ঋষভ মণ্ডলের (Rishabh Mandal)। তাঁর পরিবারের প্রতি সাহায্যের হাত বাড়াতে চায় কলকাতা পুরসভা (KMC)। ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করতে চায় পুরসভা। যদিও সেই অর্থসাহায্য নিতে অস্বীকার করেছে ঋষভের পরিবার। বদলে দোষীদের শাস্তির দাবি করেছেন তাঁরা।
মাত্র দু’বছর আগে কলকাতার বেসরকারি সংস্থায় ইঞ্জিনিয়ারের চাকরি পেয়েছিলেন ঋষভ মণ্ডল। গত ৮ এপ্রিল শেষবার ফরাক্কা ফিরেছিলেন তিনি। চলতি মাসে আবার পরিবারের কাছে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। কিন্তু তাঁর আর বাড়ি ফেরা হল না। তার আগেই আচমকাই কলকাতায় মৃত্যু হল। খালি হল মায়ের কোল।
সূত্রের খবর এই পরিস্থিতিতে ঋষভের পরিবারের পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছে কলকাতা পুরসভা। তাদের তরফে ২ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্যের করা হতে পারে। কিন্তু সেই সাহায্য চাই না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন সদ্য পুত্রহারা মা বিপাশা মণ্ডল। পরিবারের দাবি, ‘যাঁদের জন্য অকালে ছেলেকে হারাতে হল, তাঁদের শাস্তি দেওয়া হোক।’ যদিও পুরসভার মুখ্য প্রশাসক তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম জানিয়েছেন, ‘ময়নাতদন্তের রিপোর্ট আগে আসুক।
যদি দেখা যায় বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছে, তখন আর্থিক সাহায্যের কথা ভাবব।’ মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত কমিটি গড়ছে পুরসভা। সেখানে CESC এবং WBSEDCL-এর আধিকারিকরা থাকতে পারেন।
মঙ্গলবার দুপুর থেকেই মুষলধারে বৃষ্টিতে ভেসেছে শহর কলকাতা (Kolkata)। যার জেরে শহরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ে। রাজভবনের সামনেও হাঁটু জল জমে যায়। যার জেরে বিপাকে পড়েন অফিস ফেরত যাত্রীরা। বিকেলে সেই জল ঠেলেই ফিরছিলেন এক ব্যক্তি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজভবনের নর্থগেটের কাছে জমা জলে হুমড়ি খেয়ে পড়েন ওই ব্যক্তি। পড়ে যাওয়ার আগে টাল সামলাতে চেয়ে বিদ্যুতের খুঁটিটা আঁকড়ে ধরার চেষ্টা করেছিলেন।
রাজভবনের সামনে থাকা ল্যাম্পপোস্ট ছুঁতেই বিপত্তি। বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয়ে রাস্তায় পড়ে যান তিনি। দীর্ঘক্ষণ ওই জমা জলেই পড়েছিল তাঁর দেহ। এই ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়েছে। পকেটে থাকা ড্রাইভিং লাইসেন্স থেকে তাঁর নাম, পরিচয় জানা যায়।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন