এবার রেমডেসিভিরের কালোবাজারি খাস কলকাতায়, ধৃত ৩, উদ্ধার প্রচুর ওষুধ
করোনার দ্বিতীয় ধাক্কায় টালমাটাল জনজীবন। অভিযোগ, চাহিদা মতো মিলছে না ওষুধ, অক্সিজেন। এই পরিস্থিতিতেও ওষুধের কালোবাজারি করছে একদল মানুষ। বুধবার রাতে খাস কলকাতার এমনই এক চক্রের তিন সদস্যকে পাকড়াও করে লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডা দমন শাখা। উদ্ধার হল মোট ১৩২ ভায়াল রেমডেসিভির (Remdesovir)। যা বাজারের তুলনায় অন্তত ১০ গুন বেশি দামে বিকোচ্ছিল তারা।
করোনা চিকিত্সায় প্রয়োজনীয় রেমডেসিভিরের প্রতি ভায়ালের বাজারমূল্য ২,৭০০ টাকা। অথচ সেই ওষুধের এক-একটি ভায়াল বিক্রি করা হচ্ছিল ২৫ হাজার টাকায়। গড়িয়াহাটের শঙ্কর সিং নামে এক ব্যক্তিকে এই দামে রেমডেসিভির বিক্রির চেষ্টা করছিল ওই চক্রের দুই সদস্য। দাম শুনেই পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন শঙ্করবাবু। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার রাতেই দুজনকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। ধৃত দুজনের নাম রাজকুমার রায়চৌধুরি, ইন্দ্রজিত্ হাজরা। রাজকুমার শরত্ ঘোষ গার্ডেন রোডের বাসিন্দা। ইন্দ্রজিত্ সাহাপুর কলোনিতে থাকেন। দুজনই ওষুধের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলে খবর। গতকাল রাতে দুজনকেই ডায়মন্ড হারবার রোড থেকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। তাদের কাছ থেকে ১২ ভায়াল ওষুধও উদ্ধার করা হয়।
ধৃতদের জেরা করে এই চক্রের আরও সদস্যকে পাকড়াও করে কলকাতা পুলিশ। হেস্টিংস থানা এলাকা থেকে দেবব্রত সাহুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তার কাছ থেকে ১২০ ভায়াল রেমডেসিভির উদ্ধার হয়। ধৃতদের বিরুদ্ধে একবালপুর থানায় বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের বিভিন্ন ধারায় মামলা করা হয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, দেবব্রত সাহুর কনসালটেন্সি ফার্ম আছে। তিনি বিভিন্ন সূত্র মারফত এই ওষুধগুলি জোগার করছিলেন। কোথা থেকে তার কাছে এত ওষুধ আসছিল, তা নিয়ে খোঁজ খবর শুরু হয়েছে। করোনা কালে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁদ পেতেছিল এই চক্র। যাঁদের এই ওষুধের প্রয়োজন তাদের নাম জোগার করে দালাল মারফত্ অনেক বেশি টাকায় ওষুধগুলি বিক্রি করছিল। লালবাজারের গোয়েন্দা বিভাগের গুন্ডা দমন শাখার তত্পরতায় তাদের সেই ষড়যন্ত্র ভেস্তে গেল।
উল্লেখ্য, করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চলছে জালিয়াতি। কেউ বেশি দামে ওষুধ বিক্রি করছেন তো কেউ আবার ভুয়ো স্বাস্থ্য আধিকারিক পরিচয় দিয়ে রোগী ভরতির নামে টাকা তুলছেন বাজার থেকে।
সুত্র : সংবাদ প্রতিদিন