কোভিড-যুদ্ধে বড় ঘোষণা রাজ্যের, ১৩ হাজার ২৪৪ জন স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগ করতে চলেছে স্বাস্থ্য দফতর
কোভিড-যুদ্ধের এক চূড়ান্ত পর্ব চলছে যেন। বেডের ঘাটতি, অক্সিজেনের কমতি, ওষুধের আকাল- এসবের মধ্যেই স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রাণপণ চড়ে চলেছেন রাত-দিন এক করে। চাহিদার তুলনায় জোগান অনেক কম, তবু হাল ছাড়ার অবকাশ নেই। এই পরিস্থিতিতেই সুখবর দিল রাজ্য সরকার। জানা গেছে, স্বাস্থ্য দফতর আরও ১৩ হাজার ২৪৪ জন স্বাস্থ্যকর্মীকে নিয়োগ করতে চলেছে। ডাক্তার, নার্স, অচিকিত্সক স্বাস্থ্যকর্মী- সকলেই রয়েছেন এই তালিকায়।
কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার পর থেকে আক্রান্তের সংখ্যা হু হু করে বাড়ছে। রাজ্যে এই মুহূর্তে দৈনিক ২০ হাজারেরও বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। দীর্ঘায়ত হচ্ছে মৃত্যুমিছিলও। এই আক্রান্ত ও মৃতের তালিকায় রয়েছেন বহু ডাক্তার নার্সও।
প্রতিদিনই বিভিন্ন হাসপাতাল থেকে একাধিক চিকিত্সক ও নার্সের কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার খবর আসছে। ফলে ১৪ দিনের জন্য বা আরও বেশি দিনের জন্য কোয়ারেন্টাইনে চলে যাচ্ছেন তাঁরা। এর ফলে এমনিতেই হাসপাতালের স্বাস্থ্যকর্মীর সংখ্যা প্রয়োজনের তুলনায় যেখানে কম, সেখানে আরও সংকট তৈরি হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে আরও বহু স্বাস্থ্যকর্মী প্রয়োজন হাসপাতালগুলিতে।
শুধু তাই নয়, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কোভিড সংক্রমণ যত বাড়ছে, ততই সরকারের তরফে বেড বাড়ানো হচ্ছে হাসপাতালগুলিতে, তৈরি হচ্ছে একাধিক সেফহোম। কিন্তু সেই তুলনায় পর্যাপ্ত চিকিত্সক ও নার্স না থাকায়, সমস্যায় পড়ছেন রোগীরা। বহু জায়গায় অভিযোগ উঠছে, চিকিত্সা পাচ্ছেন না রোগী। কোথাও বা ডেকে সাড়া মিলছে না নার্সের। এর কারণ একটাই, রোগীর তুলনায় ডাক্তার ও নার্সের সংখ্যা অনেক কম।
শুধু চিকিত্সার জন্য হাসপাতালেই নয়, এখন ভ্যাকসিনেশনের জন্যও বহু স্বাস্থ্যকর্মীর প্রয়োজন হচ্ছে। গ্রামীণ স্বাস্থ্যেও বিশাল ফাঁক থেকে যাচ্ছে, স্বাস্থ্যকর্মীদের অভাবে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এত বড় সংখ্যায় নিয়োগ হলে আশা করা যাচ্ছে এই সমস্যা অনেকটাই মিটবে।
সুত্র : দ্য ওয়াল