জাতীয়

টিকার ঘাটতি মেটাতে কোভ্যাক্সিন তৈরির জন্য অন্য সংস্থাকেও আমন্ত্রণ জানাল কেন্দ্র

টিকার ঘাটতি মেটাতে কোভ্যাক্সিন তৈরির জন্য অন্য সংস্থাকেও আমন্ত্রণ জানাল কেন্দ্র - West Bengal News 24

করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের (Covid-19 second wave) মাঝে ভারতে দেখা দিয়েছে ভ্যাকসিন সংকট। একাধিক রাজ্যের তরফে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছে তাদের কাছে পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন নেই। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত ভ্যাকসিন প্রস্তুত করার দিতে নজর দিতে উদ্যোগী হল ভারত বায়োটেক (Bharat Biotech)। কেন্দ্র সরকার ও হায়দরাবাদের এই কোম্পানি ভ্যাকসিনের প্রস্তুতিকরণের জন্য অন্য কোম্পনির সঙ্গে হাত মেলাতে ইচ্ছুক।

নীতি আয়োগের তরফে ড. ভি কে পল জানিয়েছেন, “মানুষ চাইছে কোভ্যাক্সিনের বরাত অন্য কোম্পানিকেও দেওয়া উচিত। এই নিয়ে আমরা কোভ্যাক্সিন তৈরির কোম্পানি ভারত বায়োটেকের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি ঘোষণা করতে পেরে খুশি যে তারা এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে। এই ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে জীবন্ত ভাইরাসকে নিষ্ক্রিয় করে দেওয়া হয়। সেটি একমাত্র BSL3 (Biosafety Level 3) ল্যাবেই সম্ভব। প্রতিটি কোম্পানির এই ধরনের ল্যাব নেই। আমরা সব কোম্পানিকে স্বাগত জানাচ্ছি যারা এই উদ্যোগে যুক্ত চায়। যারা কোভ্যাক্সিন প্রস্তুত করতে চায় সেই সব কোম্পানির একসঙ্গে কাজ করা উচিত। ভ্যাকসিনের উৎপাদন যাতে বাড়ে তার জন্য সহায়তা করবে কেন্দ্র।”

সম্প্রতি সরকারের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে এই বছরের আগস্ট থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিনের ২০০ কোটিরও বেশি ডোজ দেশজুড়ে ছড়িয়ে দেওয়ার উদ্য়োগ নেওয়া হয়েছে। তার পরদিনই কোভ্যাক্সিনের উৎপাদন বৃদ্ধি নিয়ে এই বিবৃতি দেওয়া হল। এদিকে কোভিশিল্ডের দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়িয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। অনেকেই মনে করছেন দেশজুড়ে ভ্যাকসিনের যে আকাল তৈরি হয়েছে তার জন্য প্রস্তুতকারক সংস্থাকে সময় দিতেই এই ব্যবধান বাড়ানো হয়েছে।

এপ্রিল থেকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে কার্যত তছনছ গোটা দেশ। শুক্রবার গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার ১৪৪ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে। কমেছে দৈনিক সুস্থতার হার। বৃহস্পতিবার ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ১৮১ জন মানুষের সুস্থতার খবর এসেছিল। শুক্রবার জানা গেল গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ লক্ষ ৪৪ হাজার ৭৭৬ জন সুস্থ হয়েছেন। এই মুহূর্তে দেশে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ২ কোটি ৪০ লক্ষ ৪৬ হাজার ৮০৯ জন।

সক্রিয় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৭ লক্ষ ৪ হাজার ৮৩৯ জন। এখনও পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ২ কোটি ৭৯ হাজার ৫৯৯ জন। দেশের করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যু হয়েছে ২ লক্ষ ৬২ হাজার ৩১৭ জনের। মোট ১৭ কোটি ৯২ লক্ষ ৯৮ হাজার ৫৮৪ জনকে এখনও পর্যন্ত ভ্যাকসিন দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

সুত্র :কলকাতা ২৪*৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button