রাজ্য লড়াই করেছিল বলেই কেন্দ্রের টাকা পাচ্ছেন কৃষকরা : মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়
শেষমেশ প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে টাকা পাচ্ছেন রাজ্য়ের কৃষকরা। জানা গিয়েছে, রাজ্যের ৭ লক্ষ কৃষকের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে কেন্দ্রের ওই প্রকল্পের প্রথম কিস্তির টাকা সরাসরি আসবে। কেন্দ্রের এই আর্থিক সুবিধা পেতে বাংলার কৃষকদের জন্য লড়াই চালিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তারই জেরে পিএম কিষাণ নিধির (PM Kisan Nidhi Yojana) টাকা পাচ্ছন রাজ্যের কৃষকরা। এই প্রসঙ্গে বাংলার কৃষকদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‘রাজ্য লড়াই না করলে এই টাকাও কৃষকরা পেতেন না’, চিঠিতে লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী কিষাণ যোজনার অষ্টম কিস্তির টাকা ঢুকতে চলেছে এরাজ্যের কৃষকদের অ্যাকাউন্টেও। আজ অক্ষয় তৃতীয়া ও ইদ-এর দিনে বাংলার কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি কেন্দ্রীয় সাহায্যের টাকা পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে মোদী সরকার। পিএম কিষাণ নিধির সপ্তম কিস্তির টাকা গত ২৫ ডিসেম্বর দেওয়া হয়েছিল। ২০১৯ সালে এই প্রকল্পটি চালু রে কেন্দ্রের মোদী সরকার৷ কৃষক পরিবারগুলিকে আর্থিক সহায়তা দেওয়াই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল৷ এই প্রকল্পে বছরে ৬ হাজার টাকা করে পেয়ে থাকেন কৃষকরা৷ মোট ৪ কিস্তিতে এই টাকা সরাসরি সুবিধাভোগীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে দেওয়া হয়।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি প্রকল্পে রাজ্যের কৃষকদের ১৮ হাজার টাকা প্রাপ্য হলেও তাঁরা পাচ্ছেন অনেক কম। তবে মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দাবি, রাজ্য সরকার লড়াই না করলে কেন্দ্রীয় এই সাহায্যটুকুও কৃষকরা পেতেন না। আজ কেন্দ্রীয় প্রকল্পের টাকা কৃষকদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পড়ার আগেই বাংলার কৃষকদের উদ্দেশ্যে খোলা চিঠি লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
চিঠিতে কৃষকদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। চিঠিতে তিনি লিখেছেন, কেন্দ্রের প্রকল্পে এরাজ্যের কৃষকদেরও অন্তর্ভুক্ত করার দাবি জানিয়েছিল সরকার। এব্যাপারে একাধিক কাজও করেছে বাংলার সরকার। পিএম কিষাণ নিধি প্রকল্পে কৃষকদের ১৮ হাজার টাকা প্রাপ্য হলেও, তা দেওয়া হচ্ছে না বলে চিঠিতে দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি প্রকল্পের টাকা দেওয়া নিয়ে দিল্লির সরকার দীর্ঘ টালবাহানা করছিল বলে অভিযোগ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তবে মুখ্যমন্ত্রী কৃষকদের উদ্দেশ্যে লিখেছেন, ‘‘এইটুকুও পেতেন না যদি না আমরা আপনাদের হয়ে লড়াই করতাম।’’
সুত্র: কলকাতা ২৪*৭