শুভেন্দু- মুকুলকে গ্রেফতারির অনুমতি না পাওয়ার দাবি সিবিআইের
নারদা কাণ্ডের তদন্তে গ্রেফতার করা হয়েছে দুই মন্ত্রী সহ তৃণমূলের তিন নেতাকে। গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়কেও। অথচ একই অভিযোগে অভিযুক্ত হওয়া সত্ত্বেও কেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় এবং শুভেন্দু অধিকারীকে গ্রেফতার করা হল না, সেই প্রশ্ন তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।
সিবিআই সূত্রে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, যে সময়ে নারদা কাণ্ডের অভিযোগ উঠেছিল, তখন সাংসদ পদে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায় যথাক্রমে লোকসভা এবং রাজ্যসভার সাংসদ ছিলেন। তাঁদের গ্রেফতারির জন্য লোকসভার অধ্যক্ষ এবং রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের অনুমতি প্রয়োজন। কিন্তু সেই অনুমতি এখনও মেলেনি। সেই কারণেই ওই দুই নেতার বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। কিন্তু রাজ্যের যে নেতাদের মধ্যে বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হয়েছে, তাঁদের গ্রেফতারির অনুমতি দিয়েছেন রাজ্যপাল। যদিও এই অনুমোদন বেআইনি বলে দাবি রাজ্য় বিধানসভার অধ্য়ক্ষ বিমান বন্দ্য়োপাধ্যায়ের।
২০১৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনের আগে সামনে এসেছিল নারদা স্টিং অপারেশনের ভিডিও। যদিও এই স্টিং অপারেশন চালানো হয়েছিল ২০১৪ সাল নাগাদ। এই ঘটনায় এর আগে একমাত্র অভিযুক্ত আইপিএস অফিসার এইচএমএস মির্জাকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই। তার পর একাধিকবার জেরা হয়েছে তৃণমূলের অভিযুক্ত নেতা মন্ত্রীদের। পরে মুকুল রায়, শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সম্প্রতি শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি-তে যোগ দেন।
কিন্তু আজ ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সিবিআই গ্রেফতার করলেও মুকুল এবং শুভেন্দুর বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করায়, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। কারণ শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও ইতিমধ্যে বিজেপি-র সম্পর্ক ছিন্ন হয়েছে।
এ দিনই আদালতে সিবিআই নারদা কাণ্ডে প্রথম চার্জশিট জমা দেবে বলে খবর। সেখানেও প্রাথমিক ভাবে শুভেন্দু অধিকারী এবং মুকুল রায়ের নাম থাকছে না বলেই সূত্রের খবর। মুকুল রায় বিজেপি-র হয়ে কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। আর নন্দীগ্রাম থেকে ভোটে জেতা শুভেন্দু বর্তমানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তবে সিবিআই সূত্রের দাবি, এখনই গ্রেফতার করা হয়নি বা চার্জশিটে নাম না থাকা মানেই শুভেন্দু- মুকুলকে ক্লিনচিট দেওয়া নয়। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় সব পদক্ষেপই করা হবে।
সূত্র : নিউজ ১৮