করোনা আবহে গ্রেফতার করাটা কি উচিত হয়েছে’, নারদকাণ্ডে CBI-কে প্রশ্ন অধীরের…
নারদকাণ্ডে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম-সুব্রত মুখোপাধ্যায়, প্রাক্তন মন্ত্রী মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়দের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। সোমবার এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে ঠারেঠোরে তিনি বুঝিয়ে দিয়েছেন, তৃণমূলের তিন নেতা ও কলকাতার প্রাক্তন মেয়রের গ্রেফতারির পিছনে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা রয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের কট্টর সমালোচক অধীরের এমন প্রতিক্রিয়ায় কিছুটা হলেও বিস্মিত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
এদিন সকালে রাজ্যের চার প্রাক্তন ও বর্তমান মন্ত্রীকে গ্রেফতারের পরেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে এক ভিডিয়ো বার্তা জারি করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী। ওই ভিডিয়ো বার্তায় তিনি চার জনের গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেন, ‘নারদ কাণ্ডে সিবিআই গ্রেফতার করেছে বাংলার বর্তমান ও প্রাক্তন মন্ত্রীদের। দেখুন তদন্ত আছে, বিচার ব্যবস্থা, সব কিছু আছে, ঠিক আছে।
কিন্তু তদন্ত করার সময়ে, গ্রেফতার করার সময়ে একটা বাতাবরণকে আমরা অস্বীকার করতে পারিনা। আজ পশ্চিমবঙ্গজুড়ে করোনার আবহে যখন মানুষের মধ্যে ত্রাহি-ত্রাহি রব উঠেছে, যখন মানুষকে সেবা করার প্রয়োজন হয়ে পড়েছে, একে অপরকে দেখভালের প্রয়োজন হয়ে পড়েছে, সেই সময়ে এই ধরনের গ্রেফতারি আমার কাছে অনেক প্রশ্ন তৈরি করছে।’
নারদকাণ্ডে অভিযুক্ত হওয়া সত্বেও বিজেপিতে বনাম লেখানো শুভেন্দু অধিকারী-মুকুল রায়কে কেন গ্রেফতার কেন করা হল না, পরোক্ষে সেই প্রশ্নও তুলেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। তাঁর কথায়, ‘কাউকে ধরা হবে, কাউকে ছাড়া হবে, এটা গ্রেফতারির নিয়ম হতে পারে না।’
গ্রেফতার হওয়া চার নেতার স্বাস্থ্য সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সিবিআইয়ের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ উগরে দিয়ে অধীর বলেন, ‘করোনার আবহে এই ধরনের গ্রেফতারি সিবিআইয়ের করার দরকার ছিল কিনা, দু’দিন পরে করা যেত কিনা কিংবা দু’দিন আগে করা যেত কিনা তা নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন থাকছে।’
সূত্র : এই মুহুর্তে