রাজ্যে লকডাউনের মাঝেই নিখরচায় বাতিল করা যাবে ফ্লাইটের টিকিট, বড়সড় ঘোষণা এয়ারএশিয়া ইন্ডিয়ার
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিধ্বস্ত গোটা দেশ, সংক্রমণের সঙ্গে দিন দিন পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃতের সংখ্যা। সঙ্কটজনক অবস্থা পশ্চিমবঙ্গেরও। সংক্রমণ রুখতে রাজ্য সরকারের তরফে ৩০ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সোমবার রাজ্যে বিমান টিকিট বাতিলের ক্ষেত্রে ফ্রি ক্যানসেলেশনের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে এয়ারএশিয়া ইন্ডিয়া (AirAsia India)। মূলত পশ্চিমবঙ্গে আগত এবং পশ্চিমবঙ্গ থেকে যে বিমানগুলি ছাড়া হবে সেগুলির ক্ষেত্রে বিনামূল্যে টিকিট বাতিল করা যাবে। অর্থাত্ টিকিট বাতিলের জন্য কোনও চার্জ না নেওয়ার হবেনা। এছাড়া নতুন করে বিমান যাত্রার সময় পুনঃনির্ধারন করা সম্ভব হবে।
তবে শুধুমাত্র পশ্চিমবঙ্গই নয়, কর্ণাটক (Karnataka), দিল্লি (Delhi), মহারাষ্ট্র (Maharashtra) এবং তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) সহ বর্তমানে যে রাজ্যগুলিতে লকাডাউন বহাল রয়েছে, সেই সমস্ত রাজ্যের জন্যও টিকিটের বিনামূল্যে বাতিলকরণ এবং রিশিডিউলিং সম্ভব হবে। যদিও এয়ারএশিয়া ইন্ডিয়ার তরফে জানা গিয়েছে এইসমস্ত রাজ্যের ক্ষেত্রে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল সংস্থার তরফে।
এক মিনিটেরও কম সময়ে এয়ারএশিয়া ইন্ডিয়ার নতুন চ্যাটবোট Tia (যা airasia.co.in-তে উপলব্ধ) এবং WhatsApp চ্যাটে আপনি আপনার ফ্লাইটের পরিবর্তন বা নির্বিঘ্নে টিকিট বাতিল করতে পারবেন।
একজন এয়ারলাইন্সের কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ‘এয়ারএশিয়া লকডাউন এবং কারফিউর আলোকে যাত্রীদের জন্য এই বিশেষ সুবিধা প্রদান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। যদিও কর্ণাটক, দিল্লি এবং তামিলনাড়ুতে লকডাউনগুলি ২৪ মে, পশ্চিমবঙ্গ ৩০ মে এবং মহারাষ্ট্র ১ জুন পর্যন্ত কার্যকর থাকবে; বিমানবন্দর থেকে এবং বিমানবন্দরে পৌঁছানোর জন্য যাত্রীদের একটি বৈধ ভ্রমণপথ তৈরির ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হয়। লকডাউন ঘোষণার আগে যে সমস্ত এয়ারএশিয়া ইন্ডিয়ার যাত্রারা তাদের ফ্লাইট বুক করেছিলেন তারা কোনও পরিবর্তন ফি বা বাতিলকরণের চার্জ ব্যতীত অন্য কোনও ফ্লাইট বাতিল বা পরিবর্তনের বিকল্প বেছে নিতে পারেন।’
প্রসঙ্গত, দিন দিন বেড়েই চলেছে করোনা সংক্রমণ। কিভাবে এই মহামারীর মারণ কামড় থেকে রক্ষা মিলবে তা নিয়েই চিন্তায় গোটা দেশ। মঙ্গলবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ২ লক্ষ ৬৩ হাজার ৫৩৩ জন। যা সোমবারের তুলনায় খানিকটা কম। সোমবার আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ২ লক্ষ ৮১ হাজার ৩৮৬ জন। আশার কথা হল, সোমবারের তুলনায় বৃদ্ধি পেয়েছে সুস্থতার হারও।
সূত্র : নিউজ ১৮