নিজের অফিসকেই আইসোলেশন সেন্টার বানালেন দেব
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ফের ত্রাতা হয়ে উঠেছেন কলকাতার জনপ্রিয় অভিনেতা দেব। একদিকে করোনা রোগীদের জন্য বিনামূল্যে নিজের রেস্তোরাঁ থেকে খাবার বিতরণ করছেন, অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য শেয়ার করে চলেছেন। এমন পরিস্থিতিতেই এবার নতুন উদ্যোগ নিলেন ঘাটালের এই সংসদ সদস্য।
মঙ্গলবার (১৮ মে) সন্ধ্যায় নিজের টুইটারে দেব লিখেছেন, ‘আমি আমার ঘাটাল লোকসভা কেন্দ্রের ডেবরার অফিসটিকে এ বছর আবার আইসোলেশন সেন্টার করে দিয়েছি। তার পাশাপাশি আমরা অ্যাম্বুলেন্স, ওষুধ, অক্সিজেন এবং খাবারও সরবরাহ করছি।’ সেই পোস্টে শেয়ার করা ছবিতে যোগাযোগের জন্য ফোন নম্বরও দিয়েছেন দেব।
I have converted my office in Debra which is in Ghatal Loksabha Constituency, into an Isolation Centre again this Year.
Along with that we have started Ambulance,Medicine,Oxygen n Food service for the people ..Pls do contact 🙏🏻 pic.twitter.com/CWDnDhl0eb
— Dev (@idevadhikari) May 18, 2021
এর আগে তার উৎসাহেই রাজ্যের তিন জায়গায় কমিউনিটি কিচেন খোলা হয়েছে।
গত বছর থেকেই করোনা মোকাবিলায় ব্রতী দেব। নিজের লোকসভা কেন্দ্র ঘাটালে করোনা আক্রান্তদের আত্মীয় পরিজনদের জন্য বিনা খরচে খাবারের বন্দোবস্ত করে দিয়েছিলেন। এ বছরও যতবার ভোটের প্রচারে গিয়েছেন, নিজের বক্তব্যের আগে সবাইকে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছেন।
সম্প্রতি জনৈক নীলঞ্জিত গায়েন নামে এক ব্যক্তি একটি ছোট্ট মেয়ের ভিডিও বার্তা টুইট করেন। ওই ভিডিও বার্তার মাধ্যমে নিজের পরিবারের দুরবস্থার কথাই জানায় শিশু তিতলি। জানা যায়, বাবা সন্দীপ এবং মা মুনমুন দত্তের সঙ্গে চুঁচুড়ারভাড়া বাড়িতে থাকে তারা।
বাবা সন্দীপ পেশায় একজন সেলসম্যান ছিলেন। তবে তিন বছর ধরে আয় প্রায় বন্ধ। কারণ আয়ের পথে বাদ সেধেছে বাবার শারীরিক অসুস্থতা। প্রথমে প্যাংক্রিয়াসের সমস্যা ধরা পড়ে। সেইসঙ্গে কিডনি এবং লিভারজনিত সমস্যাও ছিল। প্যাংক্রিয়াসের অস্ত্রোপচারই ছিল সন্দীপকে সুস্থ করে তোলার একমাত্র উপায়। তবে অস্ত্রোপচারের জন্য প্রয়োজনীয় সাড়ে ৬ লাখ টাকা জোগাড় করা সম্ভব ছিল না তাদের পক্ষে। তাই বেঙ্গালুরুতে গিয়েও অস্ত্রোপচার করা সম্ভব হয়নি। কলকাতায় ফিরে এসে ওষুধ তো দূর, দু’বেলা দু’মুঠো খাবারের বন্দোবস্ত হওয়াও কঠিন।
ছোট্ট তিতলির ভিডিও বার্তার উত্তর দিয়ে তার পাশে দাঁড়ান দেব। তার টিম ইতোমধ্যেই তিতলির সঙ্গে যোগাযোগ করেছে বলে জানা গেছে। পাশে দাঁড়িয়েছেন চুঁচুড়ার বিধায়ক অসিত মজুমদারও।