জাতীয়

৪ দিন পর দৈনিক মৃত্যু ৪ হাজারের নীচে, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত পৌনে ৩ লক্ষের বেশি

৪ দিন পর দৈনিক মৃত্যু ৪ হাজারের নীচে, ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত পৌনে ৩ লক্ষের বেশি - West Bengal News 24

করোনার দ্বিতীয় ঢেউ কি তবে শেষ হতে চলেছে? কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের কোভিড পরিসংখ্যাণে কিছু হলেও আশার আলো দেখা যাচ্ছে। দেশের সব রাজ্যে সংক্রমণের হার কমেছে এমনটা বলা যায় না এখনও।

কেরল, কর্নাটক, উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্রে এখন সংক্রমণের হার বেশি। তবে জাতীয় গড়ে সংক্রমণের হার ধীরে ধীরে কমছে। দৈনিক আক্রান্ত তিন লাখের নীচে নেমে গেছে। বৃহস্পতিবার সকালের বুলেটিনে দেখা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিডে মৃত্যু চার হাজারের নীচে নেমেছে। দেশে করোনায় মৃত্যু ২ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮৭৪ জন কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। তবে লাগাতার এক সপ্তাহ ধরে করোনায় মৃত্যু চার হাজারের নীচে নামছিলই না।

সেদিক থেকে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের হিসেব বলছে, চলতি মাসের প্রথম ১৯ দিনে ৭৫ হাজার কোভিড রোগীর মৃত্যু হয়েছে। গত বছরের থেকে এই সংখ্যাটা অনেক বেশি। এপ্রিলেই মোট ৪৯ হাজার রোগীর মৃত্যু হয়েছিল। মে মাসে সংক্রমণের হার বাড়ায় মৃত্যুও বাড়ে দেশে। সংক্রমণের হারে এখনও এগিয়ে আছে গোয়া। কোভিড পজিটিভিটি রেট তথা সংক্রমণের হার ৪৩ শতাংশ। এর পরেই কর্নাটক।

পজিটিভিটি রেট ৩২%। মে মাসের ৪ থেকে ১৭ তারিখের মধ্যে পজিটিভিটি রেট চড়চড় করে বেড়েছে এই দুই রাজ্যেই। ভাইরাস সক্রিয় রোগীর সংখ্যাতেও কর্নাটক মহারাষ্ট্রের থেকে এগিয়ে। কোভিড অ্যাকটিভ রোগী কর্নাটকে সাড়ে পাঁচ লাখের বেশি, মহারাষ্ট্রে ৪ লাখের কাছাকাছি। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানাচ্ছে, দেশে করোনা পরীক্ষা অনেক বেশি বাড়িযে দেওয়া হয়েছে। এ যাবত্‍ ৩২ কোটির কাছাকাছি নমুনা পরীক্ষা হয়েছে দেশে।

গতকালই মোট নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ২১ লাখের কাছাকাছি। রিয়েল টাইম আরটি-পিসিআর টেস্ট, ট্রু-ন্যাট টেস্টের পাশাপাশি র‍্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ জানিয়েছে, এবার থেকে ঘরে বসেই করোনা পরীক্ষা করা যাবে। তার জন্য পুণের মাইল্যাব নামক সংস্থার তৈরি কোভিশেল্ফ নামে র‍্যাপিড হোম-কিট আনা হচ্ছে। এই টেস্ট-কিটে নমুনা ফেলে নিজেই সংক্রমণ পরীক্ষা করা যাবে।

সূত্র :দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button