করোনার আবহে , বহু অচেনা অজানা ব্যক্তি খুব তাড়াতাড়ি হয়ে উঠেছে আপন। আবার অনেকে আপনজন ও হয়ে উঠেছে পর। গত বছর থেকে করোনার মত মারন ভাইরাসের সঙ্গে লড়াইয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েছে শতশত তরুণ-তরুণী। যাদের মধ্যে রয়েছে বহু নামী-অনামী মুখ। তবে বেশির ভাগ সময়ই মানবিকতার সাক্ষী থেকেছে , আমাদের দেশ। শহর কলকাতা থেকে শুরু করে, দিল্লি কিংবা পাঞ্জাবের জলন্ধর।
সাধারন ও অসহায় মানুষদের সেবার জন্য, একাধিক সময় এই সমস্ত যায়গার নাম উঠে এসেছে। কিন্ত এবার জন্য অপেক্ষা করছিল অন্য ছবি। করোনার এই দ্বিতীয় ওয়েভ এ এসেও চরম অমানবিকতার সাক্ষী থাকল ব্যারাকপুর বাসী। অর্থাত্, এই ভাবেও যে আপনজন হয়ে উঠতে পারে অচেনা তারই সাক্ষী থাকল সকলে। ঘটনাটি ঘটেছে, তালপুকুর করুনাময়ী রোডে। গত কাল , লীলাবতী কর নামে এক বৃদ্ধা কে অসুস্থ অবস্থায় রোডের উপর রেখে যায় তার মেয়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বহু সময় ধরে ওই অসুস্থ বৃদ্ধা মহিলা কে বসে থাকতে দেখে অবাক হন তাঁরা। এরপরই তাঁরা কথা বলতে যান মহিলার সঙ্গে। এরপর সমস্ত কিছু সামনে আসতেই, টিটাগর থানায় অভিযোগ দায়ের করে, স্থানীয়রা। তবে শোনা যায় করোনার কথা মাথায় রেখেই উদাসীন মনোভাব দেখা যায় পুলিশের। সেই কারনেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নিতে নাকোচ করেন তাঁরা। এরপর , এগিয়ে আসে একটি সংগঠন। তারাই উদ্যোগ নেন , সেই ভদ্র মহিলা টিকে একটি সুরক্ষিত আশ্রয় স্থল করে দিতে।
সেইমত সেই সংস্থা থেকে খোঁজ ও চালানো হয় একাধিক বৃদ্ধা শ্রমের, অবশেষে তাদের যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যারাকপুরের একটি বৃদ্ধাশ্রমের কথা। শোনা যাচ্ছে করোনা পরীক্ষা করে যদি রিপোর্ট নেগেটিভ আসে, তাহলে বিনা বাধায় সেই বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে পারবেন ওই ভদ্র মহিলা। কিন্ত করোনা ও আর্থিক মন্দা থাকার দরুন, দেখা শোনার জন্য মাসে ১৫০০ টাকা খরচ বহন করতে হবে ওই সংস্থাকে। আপাতত, সেই রকম পদক্ষেপ নেওয়ার ভাবনা তাঁদের।
সূত্র : প্রথম কলকাতা