মাত্র ১৩ ঘণ্টার ব্যবধান কেড়ে নিল গোটা পরিবারের প্রাণ
প্রায় রোজই একের পর এক খারাপ খবর বয়ে আনছে করোনা। মহারাষ্ট্রের সাঙ্গলির শিরশি গ্রামে মারণ ভাইরাসটির জন্য ঘটে গেল আরও একটি মর্মান্তিক ঘটনা। সেখানে মাত্র ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে শেষ হয়ে গোটা পরিবারের প্রাণ। করোনার বলি হলেন বাবা, মা এবং একমাত্র ছেলে। এই ঘটনা রীতিমতো হতবাক করে দিয়েছে সকলকে। প্রথমে পরিবারের কর্তা সহদেব জিমুর কোভিডে আক্রান্ত হন।
রিপোর্ট পজিটিভ আসার পর তাঁকে একটি স্থানীয় বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর কিছুদিন পরেই তাঁর স্ত্রী সুশীলা জিমুরের ওপরও থাবা বসায় করোনা। তাঁরও রিপোর্ট পজিটিভ আসায়। তাঁকেও ওই একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর তাঁদের অবস্থা দিন-দিন খারাপ হতে থাকে। প্রায় ১৫ দিন আগে সহদেববাবু এবং সুশীলা দেবীর একমাত্র পুত্র শচীন মহাদেব জিমুর গ্রামে এসেছিলেন।
সে পেশায় একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ছিলেন। খারাপ পরিস্থিতি নিজের বাড়িতে থাকতে এসেছিলেন শচীন। তবে গ্রামে এসে বাবা ও মায়ের পর র্দুভাগ্যবশত একমাত্র পুত্রও করোনায় আক্রান্ত হয়ে পড়েন। এরপর সবটাই হয়তো ছিল সময়ের অপেক্ষা।
গত বুধবার ভোর পাঁচটার সময় মারা যান সহদেব জিমুর। সেই সময় তাঁর স্ত্রী সুশীলা দেবী এবং ছেলে শচীন ছিলেন ভেন্টিলেটরে চিকিত্সাধীন। সেই জন্য তাঁদের আত্মীয় স্বজনরা শেষকৃত্যের কাজ করেছিলেন। এর রেশ কাটতে না কাটতেই সন্ধ্যায় পরলোক গমন করেন সুশীলা দেবী। আর এই ঘটনার একঘণ্টা পরই মৃত্যু হয় তাঁদের একমাত্র পুত্র শচীনের।
সুত্র :এই মুহুর্তে