জাতীয়

টিকাকরণে আনতে হবে গতি, প্রধানমন্ত্রীকে চার দফা প্রস্তাব কেজরিওয়ালের

টিকাকরণে আনতে হবে গতি, প্রধানমন্ত্রীকে চার দফা প্রস্তাব কেজরিওয়ালের - West Bengal News 24

করোনার টিকাকরণ কর্মসূচিতে গতি আনতে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চার দফা প্রস্তাব দিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। পাশাপাশি রাজধানীতে ভ্যাকসিনের ঘাটতি নিয়েও এদিন কেন্দ্রকে একহাত নেন তিনি। কেজরিওয়াল বলেন, অতিমারির দ্বিতীয় ঢেউ সারা দেশে আছড়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে হাত গুটিয়ে থাকলে চলবে না। তাই প্রথম প্রস্তাব হিসেবে তিনি বলেন, ‘ভারত বায়োটেক, যারা কোভ্যাকসিন তৈরি করে, তারা টিকা উত্‍পাদনের ফর্মুলা বাদবাকি সংস্থাকে জানাতে সম্মত হয়েছে।

দেশে এমন অনেক সংস্থা রয়েছে। তাই সরকারের যত দ্রুত সম্ভব, তাদের আলোচনায় ডেকে ভ্যাকসিন উত্‍পাদনের আদেশ দেওয়া উচিত। এখন যুদ্ধকালীন তত্‍পরতায়, সময়ের মধ্যে টিকা তৈরি করতে হবে। আমি অত্যন্ত বিনয়ের সঙ্গে জানাতে চাই, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সংস্থাগুলিকে এই নির্দেশ দেওয়া হোক। এখন এক একটা দিন গুরুত্বপূর্ণ।’

কেজরিওয়ালের দ্বিতীয় পরামর্শ, ‘সমস্ত বিদেশি ভ্যাকসিন প্রয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া উচিত। এটাও যেন ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হয়। এতে দেরি করা ঠিক হবে না। আর বিদেশি ভ্যাকসিন নির্মাতাদের সঙ্গে সরকার নিজে কথা বলুক। এখন তো কেন্দ্র রাজ্যগুলির ঘাড়ে আলোচনার দায়িত্ব ছেড়ে দিয়েছে। আখেরে এতে কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না।

উল্টে সমস্ত রাজ্য নিজেদের মধ্যে ঝগড়া চালিয়ে যাচ্ছে। এতে বাকি দুনিয়ার সামনে ভারতের কোন চেহারা ফুটে উঠছে? কেন্দ্র কথা বললে নির্মাতা সংস্থাগুলি বিষয়টি অনেক গুরুত্ব দিয়ে দেখবে।’ তৃতীয় প্রস্তাব হিসেবে তিনি বলেন, ‘মিডিয়ায় দেখছি, বেশ কয়েকটি দেশ নাকি প্রয়োজনের চেয়ে বেশি ভ্যাকসিন জমা করে রেখেছে। জনসংখ্যার চেয়ে সেখানে মজুত টিকার পরিমাণ অনেকটাই বেশি।

সরকারের সেই সমস্ত দেশের কাছে ভ্যাকসিন চাওয়া উচিত।’ শেষে কেজরিওয়াল যোগ করেন, ‘সমস্ত বিদেশি ভ্যাকসিন উত্‍পাদক সংস্থাকে দেশে ভ্যাকসিন বানানোর অনুমতি দেখা হোক।’ নয়াদিল্লিতে ইতিমধ্যে ১৮-৪৪ বছর বয়সিদের টিকাকরণ বন্ধ হয়ে গেছে। এ বিষয়েও এদিন কেন্দ্রের সমালোচনা করেন তিনি। কেজরিওয়াল বলেন, ‘দিল্লিতে আপাতত যুবকদের ভ্যাকসিনেশন হচ্ছে না। কারণ, কেন্দ্রের পাঠানো সমস্ত ডোজ শেষ হয়ে গেছে। এটা খুব দুঃখের।

প্রতি মাসে আমাদের ৮০ লক্ষ টিকা প্রয়োজন। কিন্তু মে মাসে আমরা মাত্র ১৬ লক্ষ ডোজ পাই। এমনকী আগামী জুন মাসে দিল্লির কোটা কমিয়ে ৮ লক্ষ করা হয়েছে। প্রতি মাসে ৮ লক্ষ ডোজ পেলে গোটা রাজধানীতে ভ্যাকসিনেশন শেষ করতে ৩০ মাস সময় লাগবে। সেই ৩০ মাসে কোভিডের কত ওয়েভ আসবে আর তাতে কত মানুষ প্রাণ হারাবেন সেটা কল্পনাও করা যায় না। তাই আপ সরকার ইতিমধ্যে টিকা চেয়ে কেন্দ্রকে চিঠি লিখেছে। হাতে ভ্যাকসিন আসা মাত্র আমরা ফের কর্মসূচি চালু করব।’

সুত্র : দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button