দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে আক্রান্ত ৯ হাজার মানুষ
দেশে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম।
মিউটেশনের ফলে কভিড-১৯-এর ভারতীয় স্ট্রেইন যত শক্তিশালী হয়েছে, আক্রান্ত রোগীকে স্টেরয়েড দেওয়ার মাত্রা ততই বেড়েছে। অতিরিক্ত স্টেরয়েড স্বাভাবিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিঘ্নিত করছে। তখন সেরে ওঠার পর রোগীর শরীরে বাসা বাঁধছে এই ব্ল্যাক ফাঙ্গাস।
এতে মৃত্যুহার ৫০ শতাংশ। কয়েকজন বেঁচে আছেন চোখ হারিয়ে।
চিকিৎসকেরা বলছেন, ডায়াবেটিস এই রোগের ক্ষেত্রে বড় সমস্যা।
কভিড থেকে সেরে ওঠার ১২ থেকে ১৮ দিনের ভেতর রোগটি দেখা দিচ্ছে।
২৯টি রাজ্যে একে মহামারী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
চিকিৎসকদের উদ্ধৃত করে সংবাদমাধ্যম লিখেছে, ‘ডায়াবেটিস এমনিতেই রোগীর শরীরের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে দুর্বল করে দেয়, এরই মধ্যে করোনাভাইরাস এটিকে আরও বাড়িয়ে তোলে। ফলে এ অবস্থায় স্টেরয়েডের সাহায্যে কভিড-১৯-এর বিরুদ্ধে লড়াই করা ছাড়া উপায় থাকে না।’
ব্ল্যাক ফাঙ্গাস বা মিউকরমাইকোসিস খুবই বিরল একটি সংক্রমণ। মিউকর নামে একটি ছত্রাকের সংস্পর্শে এলে এই সংক্রমণ হয়। এই ছত্রাক সাধারণত মাটি, গাছপালা, সার, পচতে শুরু করা শাকসবজি ও ফলে পাওয়া যায়।
ছত্রাকটির সংক্রমণ সাইনাস, মস্তিষ্ক ও ফুসফুসকে আক্রান্ত করে। ডায়াবেটিস, ক্যানসার বা এইডস আক্রান্ত রোগী বা সাধারণ মানুষ যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা এমনিতেই খুব কম তাদের এই রোগের সংক্রমণের ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি।