১৪২৮ সালের ১১ই জ্যৈষ্ঠ পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে অত্যন্ত অভাবে এক পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন, জাতীয় জাগরণের অন্যতম পথিকৃৎ কবি নজরুল ইসলাম।
ইংরেজির 18 99 সাল, 24 শে মে, সেদিন হিসাবে অবশ্য পালিত হয় না তাঁর জন্মদিন। বাংলাদেশ এবং ভারতে 11 জ্যৈষ্ঠ হিসেবে পালিত হয়ে আসছে তাঁর আবির্ভাব দিবস। পিতা কাজী ফকির আহমেদ মাতা জাহেদা খাতুন অত্যন্ত আর্থিক অনটনের মধ্যে দিয়ে বড় করেন তাই তার নাম দুখু মিয়া।
মানবতাবাদী কবি বেঁচেছিলেন 77 বছর। সাম্প্রদায়িকতা-জঙ্গিবাদ ধর্মীয় কুসংস্কারের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন এবং দীপ্ত। বাঙালি জাতির রাজনৈতিক মুক্তিসংগ্রামের অকুতোভয় সৈনিকের কবিতা, গানে তৎকালীন যুব সমাজ উদ্বুদ্ধ হত দেশপ্রেমে। ব্রিটিশবিরোধী তার লেখনীর ফলে কারাবাস করতে হয়েছিল তাঁকে।
টানা 40 দিন অনশন করে বিদেশি সরকারের জেল জুলুমের প্রতিবাদ করেন তিনি। রবীন্দ্রসৃষ্ট বিরাট জগতের পাশে তার নিজস্ব জগৎ গড়ে ওঠে । 1 942 সালে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। 1972 সালের 24 শে মে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আহবানে বাংলাদেশ যান সপরিবারে।
সেখানে তাকে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তার লেখা “চল চল চল”গানের সুরে কবিতাটি বাংলাদেশ এবং ভারতের রণসংগীত হিসাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে আজও। কারার ঐ লৌহ কপাট গানটি সবসময়ের যুব সম্প্রদায়কে উজ্জীবিত করে। সবচেয়ে আশ্চর্যের তাঁর রচিত বহু শ্যামা সংগীত সহ হিন্দুদের দেবদেবী নিয়ে ভক্তিগীতি রচনা করেন যা আজও বিভিন্ন পুজোয় শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হিসেবে পবিত্রতার এবং ভক্তির ধারাবাহিকতা বজায় রেখে চলেছে।
1976 সালের 29 আগস্ট তাঁর মৃত্যু হয়।
এ কঠিন পরিস্থিতিতে, তার সৃষ্ট গান আবৃত্তির মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করছি আমরাও।