এক ধাক্কায় অনেকটা কমে রাজ্যের দৈনিক সংক্রমণ নামল ১৩ হাজারে
উদ্বেগ কাটিয়ে ক্রমশই ফিরছে স্বস্তি। লকডাউনের ফলে ক্রমশই রাজ্যে নিম্নমুখী করোনাভাইরাসের দৈনিক সংক্রমণ ও মৃত্যু। গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ এক ধাক্কায় নেমে এসেছে ১৩ হাজারের ঘরে। দৈনিক মৃত্যুও দেড়শ’র ঘরের নিচে নেমেছে।
দৈনিক সংক্রমিতের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার হার বেশি হওয়ায় একদিনে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৬ হাজারের বেশি কমেছে। সবচেয়ে সুখবর কলকাতার জন্য। কয়েক মাস বাদে মহানগরে দৈনিক সংক্রমণ দেড় হাজারের গণ্ডির নিচে নেমেছে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের দৈনিক করোনা বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘আগের দিনের তুলনায় রাজ্যে গত ২৪ ঘন্টায় করোনার নমুনা পরীক্ষা কিছুটা কম হয়েছে। নতুন করে নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৫৭ হাজার ১৬৫টি। নয়া নমুনা পরীক্ষায় আরও ১৩ হাজার ৪৬ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে।
এ নিয়ে রাজ্যে মোট সংক্রমিতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৩ লক্ষ ৩১ হাজার ২৪৯ জনে। নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় শনাক্তের হার বা পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ২২ দশমিক ৮২ শতাংশে। পাশাপাশি দীর্ঘদিন বাদে দৈনিক মৃত্যু দেড়শ’র গণ্ডির নিচে নামল। একদিনে নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ১৪৮ জন। যার ফলে রাজ্যে এ নিয়ে করোনার বলি হলেন ১৪ হাজার ৯৭৫ জন।’
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ‘গত ২৪ ঘন্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৯ হাজার ১২১ জন। এ নিয়ে রাজ্যে মারণ ভাইরাসকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠলেন ১১ লক্ষ ৯৯ হাজার ১২০ জন। সুস্থতার হার বেড়ে দাঁড়াল ৯০ দশমিক ০৭ শতাংশ। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমে দাঁড়াল ১ লক্ষ ১৭ হাজার ১৫৪ জনে।’
সবচেয়ে স্বস্তি দিয়েছে কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার করোনা পরিস্থিতি। দীর্ঘদিন বাদে মহানগরে দৈনিক সংক্রমণ দেড় হাজারের গণ্ডির নিচে নেমেছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন এক হাজার ৪৮৯ জন। প্রাণ হারিয়েছেন ৩২ জন। পার্শ্ববর্তী উত্তর ২৪ পরগনায় একদিনে সংক্রমিত হয়েছেন ২ হাজার ৯৭৫ জন। আর মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ৪২ জন।
সংক্রমণের নিরিখে রাজ্যে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা। ওই জেলায় নতুন করে আরও এক হাজার ৯৪ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। হাওড়ায় ১,০৪৯ জন, হুগলিতে ৫৯৬ জন, পশ্চিম বর্ধমানে ৬৮৪ জন নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন।
সুত্র : এই মুহুর্তে