মালদা

পরকীয়ার জেরে বৌদিকে খুন করে আত্মঘাতী দেওর

পরকীয়ার জেরে বৌদিকে খুন করে আত্মঘাতী দেওর - West Bengal News 24

গলায় ব্লেড দিয়ে আঘাত করে বৌদিকে খুন করে আত্মঘাতী হল দেওর। রবিবার ঘটনাটি ঘটেছে মালদা জেলার চাঁচোল মহকুমার রতুয়া-১ ব্লকের দেবীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের মাকাইয়া গ্রামে। ঘটনর খবর পেয়ে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে রতুয়া থানার পুলিশ। কী কারণে এই ঘটনা, তা জানতে মৃত বধূর স্বামীকে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদ শুরু হয়েছে। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছ পুলিশ।

প্রাথমিক ভাবে ঘটনার পছনে দেওর বৌদির পরকীয়া সম্পর্ক ও তা বাড়ির লোক সহ পাড়াপ্রতিবেশীর জানতে পেরে যাওয়ার ঘটনাকেই মূল কারন বলে পুলিশ মনে করছে। তবে এর বাইরে আর অন্য কোনও কারন আছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে।

জানা গিয়েছে, মিনু ঘোষ(২০) এর বাবার বাড়ি মালদা জেলারই চাঁচোল মহকুমার হরিশ্চন্দ্রপুর-২ ব্লকের দৌলতনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ফতেপুর পেমাই গ্রামে। প্রায় তিন বছর আগে দেখাশোনা করে মিনুর বিয়ে হয় মাকাইয়া গ্রামের যুবক শুভঙ্কর ঘোষের সঙ্গে। শুভঙ্কর পেশায় কৃষক ও শ্রমিক। তাদের দু’বছরের একটি মেয়েও রয়েছে। এদিন দুপুরে শুভঙ্কর জমিতে কাজ করছিলেন।

সেই সময় শোওয়ার ঘরে মিনুর গলায় ধারালো ব্লেডের কোপ মেরে খুন করে দেওর শিবশংকর। এরপর বৌদিকে খুন করার পর সে ছাদের ঘরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়। বিষয়টি নজরে আসলে বাড়ির লোকজন চিত্‍কার শুরু করে দেন। ছুটে আসেন প্রতিবেশীরা। খবর দেওয়া হয় রতুয়া থানায়। পুলিশ এসে মূতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। খুনে ব্যবহৃত ধারালো ব্লেডটিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ। তবে কী কারণে খুন তার তদন্ত শুরু করোছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে মিনুর স্বামী শুভঙ্করকেও।

মিনুর এক দাদা মুকেশ ঘোষ অবশ্য জানিয়েছেন, ‘খবর পেয়ে আমরা মাকাইয়া গ্রামে যাই। আমাদের মনে হয় এই ঘটনার সঙ্গে শুভঙ্কর, তার বাবা-মা ও ছোট ভাইও জড়িত। এমনও হতে পারে, মিনুকে খুন করার পর সবার নজর অন্যদিকে ঘুরিয়ে দিতে ওরাই শিবশংকরকে খুন করে ঝুলিয়ে দিয়েছে।’ মিনুর এক মামি রিনা ঘোষ বলেন, ‘বিয়ের পর শ্বশুর-শাশুড়ি শুভঙ্কর ও মিনুকে আলাদা করে দেয়। তার জন্য আমার ননদ মেয়েকে বাড়িতে নিয়ে চলে আসে। এক বছর বাবার বাড়িতেই ছিল মিনু।

পরে শুভঙ্কর বাড়ির লোকজনকে নিয়ে গিয়ে মিনুকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেই সময় থানাতেই বিচার হয়েছিল। আজ শুনলাম, দেওর আমার ভাগ্নিকে কেটে খুন করেছে। দেওরের সঙ্গে ওর কোনও সম্পর্ক ছিল না। এখন মিনুদের পারিবারিক ঝামেলাও ছিল না। তবে শুভঙ্কর খুব মদ খায়। মদ খেয়ে মাঝেমধ্যেই ও স্ত্রীকে মারধর করত।’ তবে পাড়া প্রতিবেশীর বক্তব্য, শুভঙ্কর খুব মদ খেত বলেই শিবশঙ্করের সঙ্গেই সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল মিনুর। তার জেরেই এই খুনখারাপি।

সূত্র : এই মুহুর্তে

আরও পড়ুন ::

Back to top button