আন্তর্জাতিক

করোনার উত্‍স কী বলুন, না হলে ভুগতে হবে চিনকে, তোপ আমেরিকার

করোনার উত্‍স কী বলুন, না হলে ভুগতে হবে চিনকে, তোপ আমেরিকার - West Bengal News 24

করোনার উত্‍স খুঁজতে চিনের সরকার বিন্দুমাত্র সাহায্য করছে না, এমনটাই অভিযোগ দুই শীর্ষস্থানীয় মার্কিন সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞের। তাঁদের দাবি, উহানের গবেষণাগার থেকে ভাইরাস লিক করেছে নাকি খোলা মাছ মাংসের বাজার থেকে ছড়িয়েছে, সেটা কিছুতেই চিন স্পষ্ট করে বলছে না। ভাইরাসের উত্‍স নিয়ে ভুল তথ্য দিয়ে আরও বিভ্রান্ত করছে।

মার্কিন কর্তাদের বক্তব্য, এমন চলতে থাকলে কোভিড-১৯ অতিমহামারীর ইতি হবে না। উল্টে কোভিড-২৬ ও কোভিড-৩২ হানা দেবে আরও ভয়ঙ্কর রূপে। মার্কিন ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর (এফডিএ)-এর প্রাক্তন কমিশনার স্কট গটলিয়েব বলছেন, উহানের বায়োসেফটি ল্যাবরেটরি থেকে ভাইরাস লিক করেছিল এই সন্দেহটাই জোরদার হচ্ছে। কিন্তু চিন কিছুতেই এই বিষয়টা মেনে নিতে চাইছে না। পাল্টা দোষারোপ করছে। স্কট গটলিয়েব ট্রাম্প জমানায় এইডিএ-র কমিশনার ছিলেন।

এখন ফাইজারের বোর্ড অব ডিরেক্টরের সদস্য। এর আগেও একাধিকবার করোনার উত্‍স নিয়ে চিনের দিকেই আঙুল তুলেছিলেন তিনি। তবে তাঁর বক্তব্যকে উড়িয়ে চিন দাবি করেছিল, প্রকৃতিই ভাইরাসের উত্‍স। উহানের গবেষাগার থেকে কিছু ছড়ায়নি। উহানের অতি সুরক্ষিত বায়োসেফটি লেভেল-৪ ল্যাবরেটরি থেকেই এই ভাইরাস ছড়িয়েছে কিনা সেই নিয়ে জোরদার তদন্ত চালাচ্ছে আমেরিকা। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, যদি চিনের ষড়যন্ত্র প্রমাণিত হয় তাহলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বর্তমানে বাইডেন প্রশাসনও একই কথা বলেছে। খুব দ্রুত ভাইরাসের উত্‍স খুঁজে বের করার জন্য মার্কিন গোয়েন্দাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ৯০ দিনের সময়সীমাও বেঁধে দেওয়া হয়েছে। ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে উহারে ওয়েট মার্কেটে প্রথম করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। তারপর থেকে এই ভাইরাস অতিমহামারী হয়ে ছড়িয়ে পড়েছে গোটা বিশ্বেই। চিন জৈব-রাসায়নিক মারণাস্ত্র তৈরি করতে গিয়েই ভাইরাস ছড়িয়ে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে বারে বারেই।

আমেরিকা বরাবরই দাবি করে এসেছে, সি-ফুড মার্কেটের ব্যাপারটা নেহাতই চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। আসলে চিন রাসায়নিক মারণাস্ত্র হিসেবে ভাইরাস বানিয়ে ছেড়ে দিয়েছে। টেক্সাস চিলড্রেন হাসপাতাল ও ভ্যাকসিন ডেভেলপমেন্ট সেন্টারের প্রধান পিটার হোটেজ় বলেছেন, আগামী বিশ্ব এখনও সুরক্ষিত নয়। সংক্রামক ভাইরাস যে গতিতে রূপ বদলাচ্ছে, তাতে আতঙ্ক এখনও কাটেনি।

ভাইরাস কোথা থেকে এবং কীভাবে এল, তা যদি জানা যায় তাহলে একে রোখার উপায় বের হতে পারে। না হলে বিপদ বাড়বে। এর মধ্যেই উহানেরই কয়েকজন ভাইরোলজিস্ট ও সাংবাদিক দাবি করেন, উহানের ল্যাবরেটরিতেই রাসায়নিক উপায় জিনের গঠন বদলে তৈরি হয়েছে করোনার সার্স-কভ-২ ভাইরাল স্ট্রেন। এর পিছনে হাত রয়েছে চিনের সেনারও। প্রমাণ আছে বলেও দাবি করেছেন তাঁরা। মার্কিন স্বাস্থ্য উপদেষ্টা অ্যান্থনি ফৌজিও বলেছিলেন, ইরাসের উত্‍স নিয়ে দ্বিতীয় পর্যায়ের তদন্ত শুরু করা হচ্ছে। উহানের গবেষণাগার নাকি খোলা বাজার, ভাইরাস কোথা থেকে এসেছে তা স্পষ্ট হয়ে যাবে।

সূত্র : দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button