ঝাড়ফুঁক তুকতাকের অপবাদে মহিলাকে এলোপাথাড়ি কোপ গ্রাম বাসিদের
ঝাড়ফুঁক তুকতাক করেন গৃহবধূ মহিলা। সেই অপবাদেই গ্রামবাসীরা চড়াও হলেন তাঁর উপর। এলোপাথাড়ি কোপাতে শুরু করেন ওই মহিলাকে। তাঁকে বাঁচাতে ছুটে আসা তাঁর দুই মেয়েও আহত হন। তাঁদেরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই মহিলার অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে কলকাতায় স্থানান্তরিত করা হয়।
সোমবার সন্ধে সাতটা নাগাদ এই ঘটনাটি ঘটেছে মালদার মোথাবাড়ি রামনাথপুরে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে আহত মহিলার নাম অর্চনা মণ্ডল। পরিবারের তরফে খবর, অর্চনা ঝাড়ফুঁক করতেন। এই অপবাদ দিয়ে তাকে হাঁসুয়া দিয়ে কোপায় তারই প্রতিবেশী ভোলা ঘোষ ও তার দলবল। মা কে বাঁচাতে গিয়ে হাঁসুয়ার কোপে আহত হয় দুই মেয়ে, সুইটি মণ্ডল ও সন্ধ্যা মণ্ডল। তারা যথাক্রমে অষ্টম ও ষষ্ঠ শ্রেণীর ছাত্রী।
পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার সন্ধ্যায় আম বাগান পাহাড়া দিয়ে দুই মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন অর্চনা। সেই সময় আচমকাই এলাকার বাসিন্দা ভোলা বেশকিছু লোকজনকে নিয়ে তাদের রাস্তা আটকায়। কিছু বুঝে উঠবার আগেই অর্চনার ওপর চড়াও হয়ে তাকে এলোপাথারি হাঁসুয়া দিয়ে কোপাতে থাকে। ঘটনাস্থলেই লুটিয়ে পড়েন অর্চনা, আহত হয় তার দুই মেয়েও। তাদের চিত্কারেই আশেপাশের লোকজন ছুটে আসে। তাঁরাই তাদের উদ্ধার করে ভর্তি করেন মালদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেই অর্চনা মণ্ডলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হলে মঙ্গলবার ভোরে তাকে কলকাতায় পাঠানো হয়।
হাসপাতালে শয্যাশায়ী অবস্থায় আহত সুইটি মণ্ডল জানিয়েছে, “অভিযুক্ত ভোলা ঘোষ ঝাড়ফুঁক করার অপবাদ দিত তার মা কে। সেই আক্রোশেই হাঁসুয়া দিয়ে তাদেরকে কোপানো হয়েছে।” পুলিশ সূত্রে খবর, আক্রান্ত ও অভিযুক্তের পরিবারের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিবাদ ছিল। সেই বিবাদের জেরেই ভোলা হাঁসুয়া নিয়ে অর্চনার উপর চড়াও হয়। ঘটনার পর থেকেই ভোলা ঘোষ পলাতক বলে জানিয়েছে পুলিশ। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
সূত্র :এই মুহুর্তে