স্ত্রীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবেন স্বামী, এমন আইন নেই কেন : মাদ্রাজ হাইকোর্ট
আইন থাকলে তার অপব্যবহারও থাকবে। ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স বা গৃহ হিংসা আইনকে অপব্যবহার করে নিজের স্বামীকে ফাঁসাতে চেয়েছিলেন এক মহিলা। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই এদিন এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যবেক্ষণ সামনে আনল মাদ্রাজ হাইকোর্ট। স্বামী স্ত্রী দুইয়ে মিলেই তৈরি হয় সংসার। কিন্তু গৃহ হিংসা আইনে কেবলমাত্র পুরুষদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথাই বলা আছে।
কোনও স্বামী যদি স্ত্রীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করতে চান তবে গৃহ হিংসা আইনে তিনি কোনও সুবিধা পাবেন না। একে রীতিমতো দুর্ভাগ্যজনক বলে মন্তব্য করেছেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি এস বৈদ্যনাথন। মামলার শুনানিতে বিচারপতি এদিন বলেন, ‘দেখা যাচ্ছে, ওই মহিলা তাঁর স্বামীকে অকারণে হেনস্থা করতে চেয়েছিলেন। ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স অ্যাক্টের মতো স্বামী স্ত্রীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে এমন কোনও আইন নেই, এটা দুর্ভাগ্যজনক।’
বিচারপতি আরও বলেন, ‘শুধুমাত্র কিছু কাগজপত্রে সই করলেই বিয়ে হয় না। বিয়ে কোনও সামাজিক চুক্তি নয়, এটা একটা সামাজিক সংস্কার। আজকালকার প্রজন্মকে তা বুঝতে হবে।’ পরক্ষণেই আবার তিনি বলেন, এই সংস্কারের কোনও গুরুত্বই নেই ডোমেস্টিক ভায়োলেন্স আইনে, কারণ সেখানে লিভ-ইন সম্পর্ককেও স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।
‘স্বামী আর স্ত্রীকে বুঝতে হবে ইগো, অসংযম পায়ের জুতোর মতো। ঘরে ঢোকার আগেই সেগুলোকে খুলে রাখতে হয়। তা নাহলে সন্তানের জীবনটাও বিষিয়ে ওঠে।’ স্ত্রীর অত্যাচারের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করবেন স্বামী, এমন আইন নেই কেন এদিন সেই প্রশ্নও তুলেছেন মাদ্রাজ হাইকোর্টের বিচারপতি।
জানা গেছে, স্ত্রীর আনা অভিযোগের ভিত্তিতে চাকরি হারিয়েছেন অভিযোগকারী ব্যক্তি। তারপরেই তিনি এর বিহিত চেয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। অভিযোগ, সংসারে অশান্তি বাঁধাতেন ওই মহিলাই। তাঁর বিরুদ্ধে অত্যাচারের অভিযোগও আগেই তুলেছিলেন স্বামী। পারিবারিক আদালতে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলাকালীন সেই অভিযোগ উঠেছিল। এরপর পাল্টা ডোমেস্টিক ভায়োলেন্সের অভিযোগ আনেন মহিলা। গোটা বিষয়টির পর্যালোচনা করে এদিন যে মন্তব্য করেছেন উচ্চ আদালতের বিচারপতি, তা যথেষ্ট তাত্পর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র : দ্য ওয়াল