স্বাস্থ্যকর্মীদের ওপর হামলা রুখতে কঠোর আইনের দাবি জানিয়ে অমিত শাহ কে চিঠি IMA-র
একাধিক ইস্যুতে এর আগে দেশের স্বাস্থ্যকর্মীরা ব্যাপকভাবে আক্রান্ত হয়েছেন। দেশের বিভিন্ন রাজ্য থেকে এই ধরনের চিত্র ধরা পড়েছে। মূলত করোনাভাইরাস (Coronavirus) পরিস্থিতি এই ঘটনাগুলিকে আরো প্রখর করে তুলেছে। কোথাও টেস্ট করাতে গিয়ে আবার কোথাও ভ্যাকসিন দিতে গিয়ে আক্রমণের সম্মুখীন হয়েছেন স্বাস্থ্যকর্মীরা।
কোথাও কোথাও এমনও দেখা গিয়েছে যে, সাধারণ মানুষ ইট, লাঠি নিয়ে তাড়া করেছেন স্বাস্থ্যকর্মীদের। এই ইস্যুতে এবার কঠোর ব্যবস্থা চাইছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন বা আই এম এ। এই প্রেক্ষিতেই তারা কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে (Amit Shah) চিঠি লিখেছে। চিঠিতে তারা উল্লেখ করেছে, যে ভাবে দিনের পর দিন স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর আক্রমণ এবং হামলা হচ্ছে তাতে তাদের জীবন বিপন্ন।
বিভিন্ন ইস্যুতে একাধিক জায়গায় হামলার সম্মুখীন হন তারা, এতে একদিকে যেমন স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ব্যাঘাত ঘটে, অন্যদিকে স্বাস্থ্যকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি বাড়ছে। তাই স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর হামলার বিরুদ্ধে যাতে কঠোর আইন নিয়োগ করা হয় তার জন্যই সরব হচ্ছেন তারা। তাদের স্পষ্ট বক্তব্য, স্বাস্থ্য কর্মীদের হামলার বিরুদ্ধে দেশে চাই কঠোর এবং নির্দিষ্ট আইন।
কেন্দ্রীয় সরকার যাতে এই বিষয়টি নিয়ে কাজ করে তার জন্যই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে অনুরোধ জানিয়েছে তারা। আই এম এর আরও বক্তব্য, যে সমস্ত ঘটনা ইতিমধ্যেই ঘটেছে সেটা হিমশৈলের চূড়া মাত্র। আসল সমস্যা অনেক গভীর এবং ভয়ঙ্কর। শুধুমাত্র করোনাভাইরাস (Coronavirus)পরিস্থিতি নয়, বিভিন্ন সময়ে এমন ঘটনা ঘটেছে যেখানে হাসপাতাল ভাঙচুর করা হয়েছে এবং ডাক্তারদের আক্রমণ করা হয়েছে।
রোগী মৃত্যু ঘিরে হাসপাতালে উত্তেজনার খবর যেন দৈনন্দিন ব্যাপার হয়ে গিয়েছে। অবশ্য ভাবে এই ইস্যুকে তুলে ধরেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নজর টানার চেষ্টা করেছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। এছাড়া তাদের আরও বক্তব্য, করোনাভাইরাস সংক্রমণের মাঝেও দিনরাত এক করে কাজ করছে স্বাস্থ্য কর্মী এবং ডাক্তাররা।
নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষের চিকিত্সায় সর্বক্ষণ কাজ করে চলেছে সকলে। কিন্তু স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর হামলার ঘটনা যেভাবে বাড়ছে তাতে অবশ্য ভাবে তাদের মধ্যে ভয় সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রেক্ষিতেই কারা চাই জতে কেন্দ্রীয় সরকার বিষয়টি নিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পদক্ষেপ নিক, যাতে এই ধরনের ঘটনা আর না ঘটে।
সুত্র : প্রথম কলকাতা