কলকাতা

মেডিক্যাল কলেজ থেকে লক্ষাধিক টাকার কোভিডের ইঞ্জেকশন চুরির অভিযোগ

মেডিক্যাল কলেজ থেকে লক্ষাধিক টাকার কোভিডের ইঞ্জেকশন চুরির অভিযোগ - West Bengal News 24

মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে করোন জীবনদায়ী ইঞ্জেকশান টসিলিজুমাব (Tocilizumab) চুরির অভিযোগ উঠল। অভিযোগ চুরি গিয়েছে মোট ২৬টি ইঞ্জেকশন। যার দাম প্রায় ১১ লক্ষ টাকা। এই খবর চাউর হতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

অভিযোগ, প্রভাব খাটিয়ে কর্তব্যরত এক নার্সের কাছ থেকে ওই ইঞ্জেকশন হাতিয়েছেন ওই চিকিত্‍সক।এ সংক্রান্ত একটি অডিও ভাইরালের পরই ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। অভিযুক্ত চিকিত্‍সক শাসক দলের নেতা নির্মল মাজির ঘনিষ্ঠ বলেও সূত্রের খবর। ঘটনায় এখনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি অভিযুক্ত চিকিত্‍সকের। এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

সরকারি নির্দেশ ছাড়া যেখানে ইঞ্জেকশন নেওয়ার অনুমোদন নেই, সেখানে কীভাবে এত স্টক বেরিয়ে গেল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। জানা গিয়েছে, প্যাথলজি বিভাগের নমুনা পরীক্ষার ফর্মে ‘ভুয়ো প্রেসক্রিপশন’ বানানো হয়েছে। সেটা দিয়েই ইঞ্জেকশন গায়েব করা হয়েছে।

করোনা চিকিত্‍সায় টসিলিজুমাব ওষুদের চাহিদা রয়েছে প্রবল। এর কারণ অনেক সময়ই করোনা আক্রান্ত রোগীদের দেহে সাইকোকাইনিন ঝড় (cytokine storms) উঠছে। যেখানে দেহের রোগ প্রতিরোধক কোষগুলি নিজেরাই নিজেদের আক্রমণ করছে এবং নষ্ট হচ্ছে প্রতিরোধক ক্ষমতা। উল্লেখ্য, টসিলিজুমাব ওষুধটি মূলত আরথ্রাইটিস বা বাত রোগের ওষুধ।

কিন্তু সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনা আক্রান্ত গুরুতর রোগীদের অনেকের ক্ষেত্রে জীবন রক্ষাকারী হিসেবে কাজ করছে টসিলিজুমাব ওষুধটি। করোনা রোগীকে বাঁচাতে টসিলিজুমাব (Tocilizumab) ইঞ্জেকশনটি দেওয়া হচ্ছে। এক একটি টোসিলিজুমাবের বর্তমান বাজারে দাম ৫০-৫৬ হাজার টাকা। কালোবাজারে এই ইঞ্জেকশান দুই আড়াই লক্ষ টাকাতেও বিক্রি হচ্ছে।

পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ। নড়েচড়ে বসেছে স্বাস্থ্য দফতরও। এদিকে, এই ঘটনায় শাসক দলের নেতা নির্মল মাজির নাম জড়ানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘কারোর কথা কোনও রাজনৈতিক অবস্থান আমি নেব না। মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দেখবে।’

সুত্র : কলকাতা ২৪*৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button