আক্রমণাত্মক মেজাজ জারি গোতির। তাঁর বিরুদ্ধে হাজার-হাজার জনস্বার্থ মামলা (PIL) হলেও তিনি জনগণের সেবা চালিয়ে যাবেন বলে বৃহস্পতিবার টুইটে জানিয়েছেন বিজেপি সাংসদ তথা প্রাক্তন ক্রিকেটার গৌতম গম্ভীর (Goutam Gambhir) । এর আগে গৌতম গম্ভীরের ফাউন্ডেশনের (Goutam Gambhir Foundation) বিরুদ্ধে করোনাকালে বেআইনিভাবে Fabiflu ওষুধ মজুত করার অভিযোগ তোলে দিল্লির ড্রাগ কন্ট্রোলার (Drug Controller) । দিল্লি হাইকোর্টে এব্যাপারে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়। সেই মামলা নিয়ে বিন্দুমাত্র ভাবিত নন গম্ভীর। বরং মানুষের স্বার্থে তিনি তাঁর কাজ চালিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন।
দিল্লি (Delhi) সরকারের ওষুধ নিয়ন্ত্রক সংস্থা দিল্লি হাইকোর্টে গম্ভীরের বিরুগ্ধে অভিযোগ জানায়। গৌতম গম্ভীর ফাউন্ডেশন অবৈধভাবে Fabiflu ওষুধ মজুত, সংগ্রহ ও বিলি করছে বলে তাঁদের অভিযোগ। ৩১ মে দিল্লি হাইকোর্টই তিরস্কার করেছিল দিল্লির ড্রাগ কন্ট্রোলারকে। বিশাল পরিমাণে কীভাবে করোনার ওষুধ (Medicines) সংগ্রহ করলেন বিজেপি সাংসদ (Bjp Mp), সেই ঘটনা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে খোঁজ নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।
গত ২১ এপ্রিল দিল্লির সাংসদ গৌতম গম্ভীর একটি টুইট করেন। সেই টুইটে তিনি লিখেছিলেন, পূর্ব দিল্লির বাসিন্দারা তাঁর ২ জাগ্রিতী এনক্লেবের সাংসদ কার্যালয় থেকে নিজেদের আধার কার্ড ও চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে Fabiflu ওষুধ নিতে পারবেন। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত এই ওষুধ মিলবে বলেও টুইটে উল্লেখ করেন গম্ভীর। এই ঘটনার পরেই গম্ভীরকে আক্রণণ করে মাঠে নামেন আপ নেতারা। দিল্লির অদিকাংশ দোকানেই মিলছে না Fabiflu ওষুধটি। এই পরিস্থিতিতে কীভাবে গৌতম গম্ভীর ফাউন্ডেশনের হাতে ওই ওষুধ বিপুল পরিমাণে পৌঁছে গেল তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তাঁরা।
এরপরই গৌতম গম্ভীরের বিরুদ্ধে দিল্লি হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের হয়। কোন অনুমোদনের বলে গম্ভীরের ফান্ডেশন বিপুল পরিমাণে Fabiflu ওষুধ মজুত করল সেব্যাপারে আদালতে প্রশ্ন তোলা হয়। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগে আমল দিতে নারাজ গৌতম গম্ভীর। তিনি জানিয়েছেন, যে সময়ে ওই ওষুধ বিলি করা হয়েছে তখন তা প্রয়োজন ছিল। তাঁর বিরুদ্ধে হাজারটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হলেও মানুষের জীবন বাঁচাতে তিনি তাঁর কাজ চালিয়ে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
সুত্র : কলকাতা ২৪*৭