বাংলায় ভোট পরবর্তী হিংসায় ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর মামলায় গত ৩১ মে তিন সদস্যের কমিটি গড়ে দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দালের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। সেইসঙ্গে আদালত নির্দেশ দিয়েছিল, রাজ্যের লিগাল সার্ভিস কর্তৃপক্ষকে একটি ই-মেল আইডি করে দিতে হবে।
যেখানে ঘরছাড়া মানুষরা তঁদের অভিযোগ জানাতে পারেন। এদিন সেই মামলার শুনানিতে রাজ্য সরকার জানিয়েছে, তাঁরা দ্রুত একটি ই-মেল আইডি তৈরি করছে। সেখানে ঘরছাড়া মানুষ তাঁদের অভিযোগ জানাতে পারবেন। আদালত রাজ্যের এই বক্তব্যের প্রশংসা করে নির্দেশ দিয়েছে, সাধারণ মানুষ যাতে জানতে পারেন সেই ই-মেল আইডি কী তার ব্যবস্থাও রাজ্যকে করতে হবে। বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল, বিচারপতি ইন্দ্রপ্রসন্ন মুখোপাধ্যায়, বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন, বিচারপতি সৌমেন সেন এবং বিচারপতি সুব্রত তালুকদারের বেঞ্চে এই মামলা চলছে।
আগের দিনের শুনানিতেই হাইকোর্ট স্পষ্ট বলেছিল, প্রত্যেক মানুষের তাঁর নিজের বাড়িতে থাকার অধিকার রয়েছে। আইনশৃঙ্খলা সুনিশ্চিত করতে হবে রাজ্য সরকারকেই। ভোটের পর থেকেই বাংলার রাজনৈতিক হিংসা চলছে বলে অভিযোগ বিজেপি-সহ বিরোধীদের। হাইকোর্টও এ নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল।
বাংলায় কেন্দ্রীয় টিম, জাতীয় তফসিলি কমিশন, মাননবাধিকার কমিশনের প্রতিনিধিদল আসা, রাজ্যপালের কোচবিহার ও নন্দীগ্রাম সফর সেই হিংসার ঘটনাকে জাতীয় স্তরেও পৌঁছে দেয়। বিজেপি অভিযোগ করে, কোচবিহারে এমন সন্ত্রাস হচ্ছে যে সেখানকার বিরোধী দলের কর্মীরা বাংলা ছেড়ে পার্শ্ববর্তী অসমে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।
বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার ইতিহাস নতুন নয়। সেই বাম জমানা থেকেই তা চলছে। সিপিএম জমানায় আরামবাগ, খানাকুল, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ অংশ, বর্ধমানে এমনই সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠত। তৃণমূল জমানাতেও তার বিশেষ বদল হয়নি।
সুত্র : দ্য ওয়াল