রাজ্য

বাংলায় কবে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন? যা জানাল রেল

বাংলায় কবে চালু হচ্ছে লোকাল ট্রেন? যা জানাল রেল - West Bengal News 24

রাজ্যে খানিকটা শিথিল করা হয়েছে বিধিনিষেধ। গতকাল সাংবাদিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, হোটেল রেস্তোরাঁ আংশিক খোলার কথা। রিটেল শপেরও সময় বাড়ানো হয়েছে। কয়েক দিন পরে খোলা হতে পারে শপিং মলগুলি। এই অবস্থায় রাজ্যবাসীর একটা বড় অংশের মধ্যে প্রশ্ন উঠেছে, কবে চালু হবে লোকাল ট্রেন।কারণ এই পরিবহণের সঙ্গেই জড়িয়ে বহু মানুষের রুটিরুজি।

কিন্তু এই প্রশ্নের উত্তর কী হবে, তাই নিয়ে ইতিমধ্যেই চাপানউতোর চালু হয়েছে রাজ্য সরকার ও রেল মন্ত্রকের। কার্যত রাজ্যের কোর্টেই বল ঠেলেছে মন্ত্রক। রেল বোর্ডের চেয়ারম্যান সুনীত শর্মা জানিয়েছেন, ভোটপর্ব মিটে যাওয়ার পরেই রাজ্য সরকার লোকাল ট্রেন বন্ধ করতে চেয়ে রেলের কাছে আবেদন জানিয়েছিল। সেই মতোই তা মেনে নিয়েছে রেল। কিন্তু ফের লোকাল ট্রেন চালু করার জন্য মন্ত্রক প্রস্তুত আছে পুরোপুরি।

রাজ্য সরকার যেদিন বলবে, সেদিন থেকেই পরিষেবা শুরু করা যাবে। তবে পরিষেবা যখনই শুরু হোক না কেন, তা কড়াভাবে কোভিড প্রোটোকল মেনেই চালানো হবে বলে স্পষ্ট করে দিয়েছে রেল বোর্ড। রেল বোর্ডের তথ্য বলছে, এই মুহূর্তে সারা দেশে প্রতিদিন গড়ে ৮০৯টি স্পেশাল যাত্রিবাহী মেল, এক্সপ্রেস ট্রেন চলছে। ‘ক্লোন’ হিসেবে চালানো হচ্ছে ২৬টি স্পেশাল ট্রেনকে। এমনকি দূরপাল্লার যাত্রিবাহী ট্রেন পরিষেবা ফের চালু করার জন্যও রেল পুরোপুরি প্রস্তুত।

তবে মাথায় রাখতে হচ্ছে করোনা পরিস্থিতি। সুনীত শর্মা বলেন, ‘রেলের কাছে কোচ কিংবা কর্মী, কোনও কিছুরই অভাব নেই। রেল একেবারে প্রস্তুত রয়েছে। তবে এসব ক্ষেত্রে করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রাখতে হচ্ছে। কারণ সব রাজ্যে করোনা পরিস্থিতি একরকম নয়।’ অন্যদিকে এই মুহূর্তে আর এক সমস্যা শুরু হয়েছে রেলে। ইস্টার্ন এবং ওয়েস্টার্ন ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর প্রকল্প থমকে আছে। এই দুই প্রকল্পের বাস্তবায়ন কবে হবে, করোনার কারণে তা অনিশ্চিত। তার উপর বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউনের জেরে শ্রমিক-কর্মচারীর অভাবও বাড়ছে।

আপাতত এই দুটি প্রকল্প শেষ করার সময়সীমার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ২০২২ সালের জুন মাস পর্যন্ত। তবে তা আরও পিছিয়ে গেলে প্রকল্পের খরচ বৃদ্ধির আশঙ্কা তৈরি হয়েছে। এই নিয়েও সুনীত শর্মা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, ‘ডেডিকেটেড ফ্রেট করিডর তৈরির কাজ নির্ধারিত সময়েই শেষ হবে। কর্মীদের যে অভাব তৈরি হয়েছিল, তা আপাতত মিটেছে। মহারাষ্ট্র এবং পূর্বাঞ্চলে এই সংক্রান্ত জমির সমস্যা রয়েছে, তাও মিটে যাবে।’

সুত্র : দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button