রাজ্য

শুধু বিজেপি বিধায়করা নন, সাংসদরাও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, দাবি কুণালের

শুধু বিজেপি বিধায়করা নন, সাংসদরাও তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন, দাবি কুণালের - West Bengal News 24

তৃণমূলের (TMC) সঙ্গে বিজেপির (BJP) সাত-আট জন বিধায়ক যোগাযোগ রাখছেন। একইসঙ্গে যোগাযোগে রাখছেন তিনজন সাংসদ। এমনই বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ (Knal Ghosh)। তিনি জানিয়েছে, বিষয়টি নিয়ে দলে আলোচনা চলছে। তবে এখনও এবিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি শীর্ষ নেতৃত্ব।

কুণাল ঘোষ বলেছেন, ‘বিজেপির অন্তত ৭ – ৮ জন বিধায়ক তৃণমূলের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে চলছেন। তার মধ্যে রয়েছেন তৃণমূলত্যাগী কয়েকজন।’ সঙ্গে তিনি দাবি করেছেন, ‘বিজেপির অন্তত ৩ জন সাংসদ তৃণমূলে যোগ দিতে চাইছেন।’ তবে কারও নাম বলেননি তিনি।

শনিবার দুপুর ২টোয় যে বৈঠক ডাকা হয়েছে সেখানে দলবদলুদেরও আরও একবার বার্তা দেওয়া হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। গত ৩ মে কালীঘাটের বাড়ি থেকেই সাংবাদিক বৈঠকে তৃণমূল নেত্রী জানান, যারা অভিমান করে বিজেপিতে চলে গিয়েছেন তারা ফিরে আসুন। আর তারপরেই দলবদলুদের ঘরে ফেরার হিড়িক চোখে পড়ছে। সোনালি গুহ, দীপেন্দু বিশ্বাস, বাচ্চু হাঁসদা, সরলা মুর্মুর মতো বহু নেতা-নেত্রীরা ফের তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন। এমনকি মুকুল-পুত্র শুভ্রাংশু রায়ও খানিক বেসুরো গাইছেন। সেই ব্যাপারে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে খবর।

ইতিমধ্যেই তৃণমূলে ফিরতে চেয়ে নিজের হাতে হাতে দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশ্যে চিঠি লিখেছেন স্ট্রাইকার তথা বসিরহাটের প্রাক্তন বিধায়ক দীপেন্দু বিশ্বাস (Dipendu Biswas)। তিনি লিখেছেন, ভোটের আগে যে সিদ্ধান্ত তিনি নিয়েছিলেন তার জন্য তিনি ক্ষমাপ্রার্থী। এবার তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির হাত থেকে দলীয় পতাকা নিয়ে মমতার অনুগত সৈনিক হিসেবে কাজ করতে চান।

প্রসঙ্গত, বিধানসভা ভোটের আগে একের পর এক হেভিওয়েট তৃণমূল কংগ্রেস নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, রথীন ঘোষ, মিহির গোস্বামী, বৈশালী ডালমিয়া সহ অনেকে। কিন্তু মুকুল রায় আর শুভেন্দু অধিকারী ছাড়া কেউই বিজেপির টিকিটে জিততে পারেননি। তারপর থেকেই একাধিক দলবদলু তৃণমূলে ফিরতে চাইছেন বলে সূত্রের খবর।

এদিকে, দলবদলু তৃণমূলীদের অবজ্ঞার সুরেই বার্তা দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেছেন, বিজেপি করার জন্য হিম্মত থাকা দরকার। ভোটের আগে অনেেক বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। যেসব নেতাদের হিম্মত রয়েছেন তাঁরা থাকবেন। দু-একজন যাবেন, এ নিয়ে ভাবার কিছু নেই। দলে তার কোনও প্রভাব পড়বে না বলে জানিয়েছেন তিনি।

সুত্র :কলকাতা ২৪*৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button