১৭ এপ্রিলের পর এই প্রথম রাজ্যে ৮ হাজারের নীচে নতুন সংক্রমণ, তবে মৃত্যু এখনও শতাধিক
ক্রমশই করোনার কবল থেকে মুক্ত হচ্ছে রাজ্য। গত ২৪ ঘন্টায় রাজ্যে মারণ ভাইরাসে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা ৮ হাজারের গণ্ডির নিচে নামল। তবে দৈনিক সংক্রমণ হ্রাস পেলেও আগের দিনের তুলনায় দৈনিক মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বমুখী। একদিনে রাজ্যে প্রাণ হারিয়েছেন ১১৩ জন। যার ফলে রাজ্যে করোনায় প্রাণহানি ১৬ হাজারের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল। স্বস্তি দিচ্ছে সুস্থতার হারও। গত ঘন্টায় করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬ হাজার ৫৫৭ জন। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৫ দশমিক ৯১ শতাংশে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে করোনা সংক্রান্ত বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৭১ হাজার ২০৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় ৭ হাজার ৯১৩ জনের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। যার ফলে রাজ্যে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ১৪ লক্ষ ১১ হাজার ৪৪৮ জনে। মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ১১৩ জন। এ নিয়ে করোনার বলি হলেন ১৬ হাজার ৩৪ জন।’
রাজ্যে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠার হার যথেষ্টই স্বস্তি দায়ক। গত ২৪ ঘন্টায় যতজন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন তার দ্বিগুনের বেশি করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। নতুন করে সুস্থ হয়ে উঠেছেন ১৬ হাজার ৫৫৭ জন। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত সুস্থ হলেন ১৩ লক্ষ ৪২ হাজার ৩৯১ জন। সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা কমেছে ৮ হাজার ৭৫৭ জন। ফলে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৩ হাজার ২৩ জনে।
কলকাতা ও উত্তর ২৪ পরগনার করোনা পরিস্থিতিরও ধীরে-ধীরে উন্নতি হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টায় কলকাতায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮৯৯ জন। এ নিয়ে টানা দু’দিন মহানগরীতে দৈনিক সংক্রমণ হাজারের গণ্ডির নিচেই রইল। কল্লোলিনী তিলোত্তমায় মারণ ভাইরাসের ছোবলে নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ২৩ জন।
কলকাতার লাগোয়া বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী উত্তর ২৪ পরগনা জেলায় একদিনে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে ১ হাজার ৬৮৬ জনের শরীরে। আর মারণ ভাইরাসের ছোবলে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন ২৫ জন। হুগলিতে দৈনিক সংক্রমণ ৫০০’র গণ্ডির নিচে নেমেছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৩৯৩ জন। হাওড়ায় ৬৩২ জনের শরীরে নতুন করে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। দক্ষিণ ২৪ পরগনায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৫৯০ জন।
সূত্র : এই মুহুর্তে