দাহ করার সময় মৃতের শরীরে থাকা পেসমেকার ফেটে বিকল বৈদ্যুতিক চুল্লি, চরম দূর্ভোগে পরিবার
বন্ধ বারাসাতের কাজীপাড়ার শ্মশান। মৃতর শরীরে থাকা পেসমেকার যন্ত্র ফেটে বৈদ্যুতিক চুল্লি বিকল। শবদাহ দাহ করতে না পেরে দূর্ভোগে মৃতের পরিবার। খুব শীঘ্রই চুল্লি ঠিক হয়ে মৃতদেহ সত্কারের কাজ চালু হবে বলে আশ্বাস দিলেন বারাসাতের মুখ্য পৌরপ্রশাসক।
উত্তর ২৪ পরগনার কাজীপাড়া এলাকায় একটিমাত্র বৈদ্যুতিক চুল্লি চালিত শ্মশান দ্বিজহরি দাস স্মৃতি শ্মশান ঘাট। ২৪ ঘন্টা চালিত এই শ্মশান ঘাটে সাধারণ ভাবে মৃতের মৃতদেহ সত্কারের পাশাপাশি করোনা রোগীদের মৃতদেহ সত্কার করা হয়। দু তিন দিন আগে এক মহিলার সত্কার করতে গিয়ে ঘটে বিপত্তি। মৃত মহিলার শরীরে থাকা পেসমেকার যন্ত্র বাস করার ফলে বৈদ্যুতিক চুল্লি বিকল হয়ে পড়ে।
ফলে বিগত দুই তিন দিন ধরে বন্ধ হয়ে রয়েছে দ্বিজ হরিদাস স্মৃতি শ্মশানঘাট। এই শ্মশান ঘাটে সকাল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত ননকোভিডের মৃতদেহ সত্কার করা হয় এবং এরপর থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত কোভিড আক্রান্ত মৃতদেহ সত্কারের কাজ চলে। ফলে চুল্লি বন্ধ থাকায় দেহ সত্কার নিয়ে চরম দুর্ভোগে পড়েছে মৃতের পরিবার।
এ বিষয়ে বারাসাত পৌরসভার পৌরপ্রশাসক সুনীল মুখার্জী বললেন, কাজীপাড়ার শ্মশান ঘাট বন্ধ থাকায় মৃতের পরিবারের পাশাপাশি সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পৌরসভাকেও। ননকোভিড মৃতদেহ সত্কারের পাশাপাশি কোভিডের মৃতদেহ সত্কার করা হয় এই শশান ঘাটে। বারাসাত পৌরসভার অন্তর্গত পাঁচটি কোভিড হাসপাতালে করোনায় মৃত এমন অনেক কেস পাওয়া যায়, যেখানে মৃতের পরিবারের দেহ সত্কারের দায়ভার পৌরসভা বহন করে।
সেই মৃতদেহগুলো কাজীপাড়া শ্মশানঘাটে সত্কার করা হয়। কিন্তু দু তিন দিন ধরে বন্ধ থাকায় বারাসাত পৌরসভাকেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। যেহেতু চুল্লি ২৪ ঘন্টা একটানা চলে, সেহেতু চুল্লীর তাপমাত্রা কমতে অন্তত দুদিন লাগে, তার ওপর লকডাউনের দরুন চুল্লির ক্ষতিগ্রস্ত মেটেরিয়াল সংগ্রহ করতে সমস্যা হয়েছে। তবে ইতিমধ্যে টেকনিশিয়ান প্রস্তুত এবং প্রয়োজনে মেটেরিয়াল সংগ্রহ করা সম্ভব হয়েছে। খুব শীঘ্রই চুল্লি ঠিক হয়ে মৃতদেহ সত্কারের কাজ চালু হবে বলে আশ্বাস দিলেন বারাসাতের মুখ্য পৌরপ্রশাসক।
সুত্র : এশিয়া নেট