মাতৃবিয়োগে খোঁজ নিয়েছেন কল্যাণ, কাঞ্চন, খোঁজ নেয়নি বিজেপি! বিস্ফোরক প্রবীর
বিজেপি নেতাদের উপর ক্ষুব্ধ প্রবীর ঘোষাল। সম্প্রতি মারা যান প্রবীর বাবুর মা। আর এহেন শোকের পরিবেশে তাঁর পাশে দাঁড়াতে দেখা যায়নি বিজেপি নেতাদের। ফোনেও খোঁজ নেয়নি বিজেপির রাজ্য সভাপতি। এ প্রসঙ্গে প্রবীর ঘোষাল বলেন, ‘সম্প্রতি মা মারা যায় আমার। আর এই খবর পেয়েই আমায় ফোন করে সমবেদনা জানান দিদি অর্থাত্ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। পাশে থাকার বার্তাও দেন দিদি। শরীর স্বাস্থ্যের খোঁজও নেন দিদি।’ এর পাশাপাশি প্রবীর ঘোষাল আরও জানান, মাতৃবিয়োগের খবর শুনেই আমায় ফোন করে সমবেদনা জানান শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ ব্যানার্জি।
উত্তরপাড়ার বর্তমান বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিকও আমায় ফোন করে খোঁজ নেন। হুগলি জেলার তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদবের সঙ্গেও আমার কথা হয়েছে। দিলীপ আমায় ফোন করেছিল। আর রাজীব ব্যানার্জি এবং শুভেন্দু অধিকারী আমায় বহুবার ফোন করে কথা বলেন। কিন্তু বাকি রাজ্যস্তরের বিজেপির কেউ আমায় ফোন করেনি। তাহলে কী এবার বিজেপি ছাড়তে চলেছেন প্রবীর ঘোষাল এ প্রশ্নের উত্তরে প্রবীর বাবু বলেন, ‘এখনও এসব কিছু ভাবিনি। তবে তৃণমূল নেতৃত্বের কাছে আমি আজ কৃতজ্ঞ। যেভাবে আমার পাশে থাকলেন তা মনে থাকবে।’
প্রবীর বাবুর কথা শুনে রাজনৈতিক মহল বলছে তাঁর তৃণমূলে ফেরা এখন সময়ের অপেক্ষা। যেভাবে কল্যাণ ব্যানার্জি, দিলীপ যাদবের সঙ্গে প্রবীর ঘোষালের সখ্যতা বেড়েছে তা থেকে পরিষ্কার যে শুধু প্রবীর ঘোষাল নয় রাজীব ব্যানার্জি, মুকুল পুত্র শুভ্রাংশু রায় তৃণমূলে ফেরার রাস্তা তৈরি করছেন। প্রসঙ্গত,প্রবীর ঘোষাল, রাজীব ব্যানার্জিরা একুশের বিধানসভা ভোটের ঠিক আগেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন।
ভোটেও দাঁড়ান বিজেপির টিকিটে আর তৃণমূল প্রার্থীদের কাছে হেরে যান। আর ভোটের ফল প্রকাশ হতেই বিজেপির মিটিংয়ে আর দেখা যায়নি প্রবীর ঘোষাল, রাজীব ব্যানার্জিদের। বিজেপি থেকে একাধিক নেতাও দলবদল করে তৃণমূলে ফিরবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহল মহল।
সুত্র : আজকাল