বলিউড

নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার ‘নাগিন ৩’ অভিনেতা পার্ল ভি পুরি

নাবালিকা ধর্ষণ মামলায় গ্রেফতার ‘নাগিন ৩’ অভিনেতা পার্ল ভি পুরি - West Bengal News 24

নাবালিকা ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি মামলায় গ্রেফতার টেলিভিশন সিরিয়াল অভিনেতা পার্ল ভি পুরিকে ১৪ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতে পাঠাল ভাসাইয়ের আদালত। এই অভিযোগে পার্লের পাশাপাশি গ্রেফতার ৫ জনের ক্ষেত্রেও আদালত একই নির্দেশ দিয়েছে। শুক্রবার রাতে শিশুদের যৌন নির্যাতন থেকে রক্ষা বা পকসো আইনে পার্লকে গ্রেফতার করে ওয়ালিভ পুলিশ।

নাগিন ৩, বেপনাহ পেয়ার, নাগার্জুন এক যোদ্ধা, ব্রহ্মরাক্ষস ২ -এ অভিনয়ের সুবাদে হিন্দি টিভি সিরিয়ালের দুনিয়ায় বেশ নামডাক আছে পার্লের। মীরা ভায়ান্ডার ভাসাই ভিরারের জোন ২ এর ডিসিপি সঞ্জয় পাতিল বলেছেন, ঘটনাটি পুরানো, তবে ১৭বছরের নির্যাতিত নাবালিকা মায়ের সঙ্গে থানায় এসে আমাদের কাছে অভিযোগ দায়ের করেছে। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৬ (ধর্ষণ) ও ২০১২-র পকসো আইনে আমরা মামলা রুজু করেছি।

যদিও পার্লের পাশে দাঁড়িয়েছেন বিনোদন জগতের পরিচিত মুখেরা। তাঁর নাগিন ৩ এর সহ অভিনেতা অনিতা হাসনন্দানি ইনস্টাগ্রামে তাঁর সঙ্গে নিজের ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, পার্ল ভি পুরি সম্পর্কে একটা ভিত্তিহীন খবর শুনলাম। আমি ওকে চিনি। এটা সত্যি নয়, সত্যি হতে পারে না। সব মিথ্যা। আমি নিশ্চিত, এর পিছনে আরও কিছু আছে। সত্যিটা শীঘ্রই প্রকাশ পাবে। তোমায় ভালবাসি। #ISTANDWITHPEARL হ্যাশট্যাগও দেন তিনি। পার্লের বন্ধু অভিনেত্রী করিশ্মা তান্না ইনস্টাগ্রাম পোস্টে দাবি করেন, অভিনেতা জামিন পেয়েছেন। তাঁর সঙ্গে তোলা ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, সত্যের জয় হয়। সত্যমেব জয়তে।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by Erk❤️rek (@ektarkapoor)

প্রোডিউসার একতা কপূরও ইনস্টাগ্রাম পোস্টে পার্লকে সমর্থন করেছেন। পার্লের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে দাবি করেছেন, মেয়েটির মা তাঁকে বলেছেন, পার্ল নিরপরাধ। একতা লিখেছেন, আমি শিশুর শ্লীলতাহানিকারী বা যে কোনও ধরনের শ্লীলতাহানিকারীকে সমর্থন করব? কিন্তু গতকাল রাত থেকে এখনও পর্যন্ত যা দেখছি, তা মানুষের অধঃপতনের চূড়ান্ত। কী করে মানুষ এতটা নিচে নামতে পারে? কীভাবে পরস্পরের প্রতি অসহনশীল মানুষ নিজেদের লড়াইয়ে একজন তৃতীয় ব্যক্তিকে টেনে আনে?

কী করে একটা মানুষ আরেকজনের সঙ্গে এমন করে? মেয়েটির মায়ের সঙ্গে অনেকবার কথা হয়েছে। তিনি প্রকাশ্যে জানিয়েছেন, পার্ল এতে জড়িত নয়। তাঁর স্বামী মেয়েকে নিজের কাছে রেখে দেওয়ার জন্য, সেটে কর্মরত একজন মা বাচ্চার দায়িত্ব নিতে অক্ষম, প্রমাণ করতে গল্প ফাঁদছেন। এটা সত্যি হলে অনেক স্তরে অন্যায় হয়েছে। মি টু-র মতো অতি গুরুত্বপূর্ণ একটা আন্দোলনকে নিজের এজেন্ডায় কাজে লাগানো, একটা বাচ্চাকে মানসিক নির্যাতন করা, নিরপরাধ লোককে দোষী ঠাওরানো।

কে ঠিক, কে ভুল, স্থির করার অধিকার আমার নেই, আদালতই ঠিক করবে। মেয়েটির মা গতরাতে যা বলেছেন, অর্থাত পার্ল নির্দোষ, তার ভিত্তিতেই আমি অভিমত জানাচ্ছি। এটা খুব, খুব দুঃখের যদি কর্মরত মায়েরা সেটে নরখাদকরা আছে বলে বাচ্চাদের দেখভাল করতে অক্ষম, এটা প্রমাণে লোকে নানা কৌশল ব্যবহার করে।

সুত্র : দ্য ওয়াল

আরও পড়ুন ::

Back to top button