ত্রাণ চুরির অভিযোগ, এফআইআর দায়ের শুভেন্দুর বিরুদ্ধে
একদিকে সেচ, অন্যদিকে ত্রিপল চুরি! উভয় ‘সংকটে’ পড়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvenu Adhikari)। শনিবারই শুভেন্দুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাখাল বেরাকে গ্রেফতার করেছে মানিক’তলা থানার পুলিশ। সেচ দফতরে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার টোপ দিয়ে বহু মানুষের কাছ থেকে টাকা তোলার অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে।
স্বাভাবিক কারণেই ওই গ্রেফতারিতেও শুভেন্দু ‘তাৎপর্য’ খুঁজে পাচ্ছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। এরই মধ্যে এবার ত্রিপল চুরিতে মদত দেওয়ার অভিযোগে শুভেন্দু ও তাঁর ভাই সৌমেন্দুর বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হল। ফলে রাজ্যে তৃতীয় বার তৃণমূল ক্ষমতায় আসা মাত্রই দুটি মামলায় নাম জড়িয়ে গেল শুভেন্দুর।
ত্রিপল চুরির ওই ঘটনা বেশ কয়েকদিন আগের। অভিযোগ, শুভেন্দু অধিকারী ও তাঁর ভাই কাঁথি পুরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌমে’ন্দুর নির্দেশে ও আরও দুই ব্যক্তির মদতে পুরসভার গোডা’উন থেকে চার-পাঁচজন সশস্ত্র কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান ঢুকে ত্রাণের জন্য রাখা ত্রিপল চুরি করে নিয়ে পালায়। সেখানে প্রায় লক্ষাধিক টাকার ত্রিপল ছিল বলে অভিযোগ। সেই সূত্রেই গত ২৯ মে কাঁথি থানায় শুভেন্দু ও তাঁর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী-সহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন কাঁথি পুরসভার প্রশাসনিক বোর্ডের সদস্য রত্নদীপ মান্না।
তিনি অভিযোগ করেছেন, ত্রিপল চুরিতে অভিযুক্ত দুই পুর’কর্মী স্বীকার করে নিয়েছেন, শুভেন্দু ও সৌমেন্দুর নির্দেশেই এমন কাজ করেছেন তাঁরা। এ বিষয়ে এখনও পর্যন্ত শুভেন্দু মুখ না খুললেও তাঁর বাবা সাংসদ শিশির অধি’কারী গোটা ঘটনাকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসা বলে দাবি করেছেন। তাঁর কথায়, ‘পুরোটাই রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভাবে করা হচ্ছে। কাকে সিবিআই ধরে নিয়ে গেল, আর তার জন্য শুভেন্দুদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হল। আমাদের যত হেনস্থা করবে, করুক।’
অপরদিকে, ইতি’মধ্যেই সেচ দফতরে দুর্নীতির তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। আর সেই তদন্তেরই প্রথম পদক্ষেপ হিসাবে শুভেন্দু অনুগামী বলে পরিচিত রাখাল বেরাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রাজ্যের প্রাক্তন সেচ’মন্ত্রী তথা বর্তমানে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাখাল বেরাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ। এদিনই তাঁকে আদালতে তোলার কথা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের কারণে রাজ্যের শতা’ধিক বাঁধ ভেঙে পড়া ঘটনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। আর এর পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যজুড়ে শতাধিক বাঁধ ভেঙে পড়ার কারণ অনু’সন্ধানের নির্দেশ দিয়েছেন। তার পরই পুলিশ তদন্তে নামে। আর তদন্তের শুরুতেই রাখাল বেরা গ্রেফতার। রাজনৈতিক মহল বলছে, কান টেনে কি মাথাদের খোঁজ করার চেষ্টা করছে পুলিশ! উত্তর দেবে সময়।
সুত্র : নিউজ ১৮