‘মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে’, ‘আমি বালি বোরাও ও জলধোড়াও নই, জাত গোখরো, এক ছবলে ছবি,’ বিজেপিতে যোগদানের দিন ব্রিগ্রেডের সমাবেশ থেকে এই বক্তব্যের ফুলঝুড়ি ছুটিয়েছিলেন মিঠুন। সেই কারণেই তাঁর বিরুদ্ধে উল্টোডাঙ্গা থানায় ১৫৩-এ, ৫০৪,৫০৫,১২০বি মামলা দায়ের করেন বিশিষ্টজনেরা। তারা জানান, মিঠুন চক্রবর্তীর এহেন মন্তব্যের জন্য বাংলায় হিংসা ছড়াচ্ছে।
সেই মামলার ভিত্তিতে শিয়ালদহ কোর্টের নির্দেশে তদন্ত শুরু করে কলকাতা পুলিশ। আর সেই মামলা থেকে বাঁচতে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিনেতা মিঠুন। তিনি আদালতে লিখিত আকারে জানিয়েছে, তাঁর মঞ্চে দেওয়া ডায়লগ গুলো শুধুমাত্র সিনেমার সংলাপ। তাঁর সিনেমার চরিত্রের সংলাপ গুলো জনমানসের মনোরঞ্জনের জন্য বলেছেন। শুধুমাত্র মানুষের মন ভোলানোর জন্যই বলা, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সম্পর্ক নেই।
তাঁর বিরুদ্ধে চলা মামলা প্রত্যাহারের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে দ্বারস্থ হয়েছেন মিঠুন। উস্কানিমূলক বক্তব্য, হুমকি এই সমস্ত অভিযোগ রয়েছে তাঁর নামে। একাধিক জনসভাতে উস্কানিমূলক বক্তব্য রেখে বাংলার শান্ত পরিবেশ অশান্ত করেছেন মিঠুন। তাঁর জন্যই আজ বাংলায় অশান্তি।
এই ঘটনায় কলকাতা পুলিশ খুব শীঘ্রই সমন করার কথা, শুধুমাত্র সিনেমার সংলাপ বলে ব্যাপারটি এড়িয়ে যাচ্ছেন মিঠুন, রাজ্যে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অশান্তির জন্য দায়ী তিনিই। তাই তদন্ত এগোলে চাপ বাড়তে পারে মিঠুনের উপর, এমনকি তাঁর জেলযাত্রাও হতে পারে। তাই আগেভাগেই নিজের আত্মরক্ষার্থে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন অভিনেতা।
চলতি বছরের মার্চ মাসে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগদান করেন মিঠুন। তারপর থেকেই চোখা চোখা সংলাপ বলে বঙ্গের পরিস্থিতি উত্তপ্ত করতে চেয়েছেন তিনি। এছাড়াও বর্তমান সরকার তৃণমূল কংগ্রেসের নানা প্রকল্প নিয়েও খোঁচা দিতে ছাড়েননি তিনি। তাই তাঁর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়।
সুত্র : এই মুহুর্তে