রাজ্য

তিনটি কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবি মমতার

তিনটি কৃষি বিল প্রত্যাহারের দাবি মমতার - West Bengal News 24

কৃষক আন্দোলন নিয়ে অন্য মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে কথা বলব। নবান্নে দিল্লির কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকায়েতের সঙ্গে বৈঠকের পর বললেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একই সঙ্গে তিনি বললেন, ফসলের নূন্যতম দাম নিয়ে নতুন আইন প্রনয়ণ করা হোক।

২০২১ -এর বিধানসভা ভোটে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে নতুন সরকার গঠনের পর আজ মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্‍ করলেন কৃষক আন্দোলনের নেতৃত্ব। বুধবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) সঙ্গে বৈঠক করেন দিল্লির কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকায়েত (Rakesh Tikait)। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লি থেকে কলকাতায় এসেছেন কৃষক আন্দোলনের তিন প্রতিনিধি। রাকেশ টিকায়েত ছাড়াও ওই প্রতিনিধি দলে ছিলেন দুই কৃষক নেতা অনুজ সিং ও যদুবীর সিং।

আরও পড়ুন: রাজীবকে ‘মীরজাফর’, ‘গদ্দার’ তকমা, ডোমজুড়ে পোস্টার তৃণমূলকর্মীদের

এদিন মমতা বলেন, প্রথমদিন থেকে কৃষক আন্দোলনের পাশে আছি। আমাদের অনেক সাংসদ সমর্থন জানাতে সেখানে গিয়েছিলেন। কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করার পাশাপাশি, এই আন্দোলন চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার বার্তা দিলেন মমতা। তিনি বলেছেন, ”যত দিন দাবি আদায় না হল আন্দোলনকে সমর্থন করতে হবে।”

বিজেপি শাসিত কেন্দ্রীয় সরকারের মোকাবিলায় সমস্ত বিরোধী রাজ্যগুলিতে এক হওয়ার বার্তা দিলেন মমতা। বললেন, ”এক রাজ্যেকে বিজেপি আক্রমণ করলে, বাকি রাজ্যগুলিকে রুখে দাঁড়াতে হবে। দেশের গনতন্ত্র রক্ষা করতে, দেশের কৃষক, শ্রমিক, যুবদের বাঁচানোর জন্য সবাইকে এক হতে হবে। যারা বিজেপির পুরনো নেতা। তাঁরাও এই কাজে যোগ দিতে পারেন।”

দিল্লির কৃষক আন্দোলনকে সমর্থন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলকে সমর্থন করেছিলেন কৃষক আন্দোলনের নেতা রাকেশ টিকায়েতও। ভোটের মুখে পশ্চিমবঙ্গে জোড়া কৃষক মহা পঞ্চায়েতের আয়োজন করেছিলেন পাঞ্জাবের কৃষকনেতা রাকেশ টিকায়েত।

কলকাতা এবং নন্দীগ্রামে তিনি জোড়া সভা করেন। সে সময় রাকেশের সঙ্গে ছিলেন সমাজকর্মী মেধা পাটেকর ও অন্য অনেকে। ধর্মতলায় গান্ধীমূর্তির পাদদেশ এক সমাবেশে তিনি বলেছিলেন, আর যাকেই ভোট দিন বিজেপিকে দেবেন না। বিজেপি কৃষকবিরোধী প্রাইভেট কোম্পানি চালিত দল। এর পর কৃষক নেতারা যান নন্দীগ্রামে। সেখানেও কমবেশি একই কথা বলেন তাঁরা।

সুত্র : কলকাতা ২৪*৭

আরও পড়ুন ::

Back to top button