জাতীয় সড়কের ধারে পড়ে হাজারখানের বাইক-সাইকেল,বয়ে চলেছে লকডাউনের স্মৃতি
মাঠের মধ্যে পড়ে রোদে-জলে নষ্ট হচ্ছে হাজারখানেক সাইকেল, মোটর বাইক। হয়তো চুরিও হয়েছে। হিসেব নেই প্রশাসনে কাছে। দাঁতনের শান্তানগরে এই অযত্ন, অবহেলার ইতিহাস যারা জানেন তাদের কষ্ট হচ্ছে। আর যারা জানেন না তারা অবাক হচ্ছেন ওই বাইক, সাইকেলের স্তূপ দেখে।
গত বছর ২৪ মার্চ দেশজুড়ে লকডাউন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী(Narendra Modi)। পরদিন থেকেই থমকে গেল গোটা দেশ। জাতীয় সড়কে মানুষের ঢল, রেললাইন মানুষের লম্বা লাইন। পায়ে হেঁটে ঘরে উদ্দেশ্য বেরিয়ে পড়েন পরিযায়ীরা। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সাইকেল, বাইকেও রাজ্যে ফিরেছিলেন অনেকে। দাঁতনের শান্তনগরের ওইসব পড়ে থাকা বাইকের যোগসূত্রে সেখানেই।
ওড়িশা, অন্ধ্র, তামিলনাড়ু থেকে পরিযায়ীরা ফিরেছিলেন খড়গপুর হয়ে। এই শান্তানগরে তাদের থামিয়েছিল প্রশাসন। ভিন রাজ্য থেকে আসা শ্রমিকদের করোনা পরীক্ষা হয়েছিল। বাসে, ছোট গাড়িতে করে তাদের বাড়ি ফেরার ব্যবস্থা করেছিল প্রশাসনই। ফলে শান্তানগরেই রেখে যেতে হয়েছিল বাইক, সাইকেল। তার পর থেকে সেখানেই পড়ে রয়েছে সেগুলি। জাতীয় সড়কের ধারে কয়েক বিঘে জমিতে পড়ে রয়েছে ওইসব সাইকেল, বাইক।
ওই ছবি দেখলেই এলাকাবাসীর মনে পড়ে যায় গত বছর লকডাউনের(Lockdown) ছবি। এলাকার মানুষের দাবি, প্রশাসনই উদ্যোগ নিয়ে ওইসব সাইকেল, বাইকগুলি তাদের মালিকদের ফিরিয়ে দিক। জানা যাচ্ছে মহকুমা শাসক জানতেনই না ওইসব সাইকেল-বাইকের কথা। এনিয়ে তিনি বলেন, পুলিসকে বলেছি, ওইসব যানগুলি যেন ঠিকভাবে রাখা হয়। কেউ যদি উপযুক্ত প্রমাণ নিয়ে ওইসব যানবাহনের দাবি করে তাহলে তা মালিকের হাতে ফেরত দেওয়া হবে।
সুত্র : ২৪ ঘন্টা