পুলিশকে তদন্তে সহযোগিতা করার জন্য মিঠুন চক্রবর্তীকে (Mithun Chakraborty) নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট (Highcourt)। আদালতের নির্দেশ, সশরীরে হাজিরা দিতে হবে মিঠুনকে। ভিডিও কনফারেন্সিংয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন তদন্তকারী আধিকারিকরা।
রাজ্যে বিধানসভা ভোটের প্রচারের সময় মানিকতলার বিজেপি প্রার্থী কল্যাণ চৌবে সমর্থনে গিয়ে ‘মারব এখানে, লাশ পড়বে শ্মশানে’, ‘জাত গোখরো’র মতো সংলাপ বলেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর সেই সংলাপ নিয়ে আপত্তি তুলে মানিকতলা থানায় অভিযোগ দায়ের করে তৃণমূল। তাঁর বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র (১২০বি), উস্কানিমূলক বক্তৃতা করে শান্তিভঙ্গের চেষ্টা (৫০৪, ৫০৫), বিভিন্ন গোষ্ঠী এবং বিভিন্ন ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে বিদ্বেষ ছড়ানো (১৫৩এ)-সহ একাধিক ধারায় মিঠুনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।
তৃণমূলের দায়ের করা এই মামলা খারিজের আর্জি জানিয়ে হাই কোর্টে আবেদন করেছিলেন মিঠুন চক্রবর্তী। তাঁর আর্জির পরিপ্রেক্ষিতেই এই নির্দেশ দিয়েছে হাইকোর্ট। আগামী বুধবার কলকাতা হাইকোর্টের মামলার শুনানির সম্ভাবনা।
মিঠুন চক্রবর্তী হাইকোর্টে তাঁর আবেদনে বলেছিলেন যে, ভোটের প্রচারের সময় তিনি যা বলেছিলেন, সেগুলি সিনেমার সংলাপমাত্র। তাঁর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তিনি এ ব্যাপারে কোনওভাবেই সম্পর্কিত নন। মিঠুনের পালটা অভিযোগ, রাজনৈতির স্বার্থ চরিতার্থ করতেই তাঁর বিরুদ্ধে ভোটপ্রচারে উসকানিমূলক মন্তব্য করার অভিযোগ আনা হয়েছে। সেই কারণেই উচ্চ আদালতে তিনি তৃণমূলের অভিযোগ খারিজ করার আবেদন জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কোভিড-১৯ টিকার স্লট বুকিং-এ সহায়তা করতে চায় পেটিএম, অপেক্ষা অনুমোদনের
উল্লেখ্য, রাজ্যে বিধানসভা ভোটের আগে গত মার্চ মাসের শুরুতে ব্রিগেডের মঞ্চে বিজেপি-তে যোগ দেন মিঠুন। সে দিনও তাঁর মুখে শোনা যায় তাঁর অভিনীত ছায়াছবির একাধিক সংলাপ। মিঠুন প্রথমে বলেন, ”মারব এখানে লাশ পড়বে শ্মশানে, এই ডায়লগটা চলবে।”
সুত্র : কলকাতা ২৪*৭