করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু হয়েছে ৭১৯ চিকিত্সকের
করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ৭১৯ জন চিকিত্সক। যার মধ্যে বেশিরভাগই বিহারের। শনিবার এই তথ্য প্রকাশ করল ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্য়াসোসিয়েশন (IMA)।
আইএমএ-এর (IMA) তথ্য অনুযায়ী, ৭১৯ জন চিকিত্সকের মধ্যে বিহারের ১১১ জন চিকিত্সকের মৃত্যু হয়েছে। দিল্লির (Delhi) ১০৯ চিকিত্সকের প্রাণ কেড়েছে করোনা। এরপরই তালিকায় রয়েছে উত্তরপ্রদেশ (Uttar Pradesh), পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal) এবং রাজস্থান (Rajasthan)। যেখানে করোনার জেরে চিকিত্সা মহলেও যথেষ্ট প্রভাব ফেলেছে।
তথ্য বলছে, করোনার জেরে উত্তরপ্রদেশে মৃত্যু হয়েছে ৭৯ জন চিকিত্সকের। পশ্চিমবঙ্গে প্রাণ হারিয়েছেন ৬৩ জন চিকিত্সক। রাজস্থানেও চিকিত্সকদের মধ্যে বেশ প্রভাব ফেলেছে মারণ ভাইরাস। সেখানে ৪৩ জন চিকিত্সকের মৃত্যু হয়েছে।
Indian Medical Association (IMA) says 719 doctors died during second wave of COVID-19 pandemic; maximum 111 doctors lost their lives in Bihar, followed by Delhi (109) pic.twitter.com/4CCFSIMZj6
— ANI (@ANI) June 12, 2021
এর আগে গত ৭ জুন ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্য়াসোসিয়েশনের (IMA) তরফ থেকে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে (Narendra Modi) একটি চিঠি পাঠানো হয়। সেখানে চিকিত্সক সহ চিকিত্সার সঙ্গে যুক্ত সমস্ত কর্মীদের সুরক্ষার জন্য তাঁর হস্তক্ষেপের আবেদন জানানো হয়।
ওই চিঠিতে আইএমএ-র (IMA) তরফ থেকে, কর্মক্ষেত্রে সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করার আবেদনও জানান। এবং সেই পরিবেশে যাতে চিকিত্সক এবং স্বাস্থ্যকর্মীরা নির্ভয়ে কাজ করতে পারে।
আইএমএ-এ (IMA) এও উল্লেখ করেছে যে, করোনার জেরে ২০২০ থেকে ভারতে (India) ১ হাজার ৪০০ জনেরও বেশি চিকিত্সকের মৃত্যু হয়েছে। এই তথ্য থেকেই স্পষ্ট যে করোনা মহামারি কতটা প্রভাব বিস্তার করেছে দেশে। যার চোখরাঙানি থেকে রেহাই পায়নি চিকিত্সকরাও। হাজারেরও বেশি চিকিত্সেকর মৃত্যু তারই প্রমাণ।
উল্লেখ্য, দেশে এদিকে অনেকটাই কমল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গতকালের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা এদিন প্রায় ৭ হাজার কমে গিয়েছে। গত ৭০ দিনে এদিন সবচেয়ে কম নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছে দেশে। তবে গতকালের তুলনায় এদিন মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়িয়েছে ৪ হাজার।
শনিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৮৪ হাজার ৩৩২ জন। শুক্রবারের রিপোর্টে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৯১ হাজার ৭০২ জন। এই নিয়ে পরপর দুদিন কমল আক্রান্তের সংখ্যা। শনিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী গত ৭০ দিনের নিরিখে এদিন সবচেয়ে কম মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
সূত্র : কলকাতা ২৪*৭