সিঙ্গুরে প্রসঙ্গ টেনে দেশের কৃষকদের যন্ত্রণার কথা জানালেন মমতা
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মহাকরণে পৌঁছনোর পিছনে দুটি আন্দোলনের অবদান অনস্বীকার্য। সিঙ্গুর এবং নন্দীগ্রাম। দু’জায়গাতেই কৃষি জমি রক্ষার আন্দোলন করেছিলেন দিদি। ২০১১-র ভোটের আগে মমতার অন্যতম প্রতিশ্রুতি ছিল, সরকারে এলেই সিঙ্গুরের অনিচ্ছুক কৃষকদের জমি ফেরত দেবে সরকার। ২০১১ সালের আজকের দিনেই বিধানসভায় পাশ হয়েছিল সিঙ্গুর কৃষি জমি পুনর্বাসন ও উন্নয়ন বিল।
সেই ঐতিহাসিক দিনের ১০ বছর পূর্তিতে আন্দোলনের কথা স্মরণ করার পাশাপাশি সারা দেশের কৃষকদের যন্ত্রণার কথা টুইটে লিখেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, কেন্দ্রীয় সরকারের জন্যই সারা দেশের কৃষকদের এই যন্ত্রণা। এর বিরুদ্ধে তাঁর এবং তাঁদের আন্দোলন জারি থাকবে বলেম টুইটে লিখেছেন মমতা। গত সপ্তাহেই রাকেশ টিকায়েত সহ সর্বভারতীয় সংযুক্ত কৃষক সমন্বয় মঞ্চের নেতারা নবান্নে এসে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁদের সামনেও মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘গায়ের জোরে আইন পাশ করিয়ে কৃষকদের উপর সব কিছু চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। যার ফল ভুগছে গোটা দেশ।
কৃষিক্ষেত্র, শিল্পক্ষেত্র ভুখা হয়ে পড়েছে।’ মমতার বক্তব্য, সিঙ্গুরের সেই আন্দোলনের ফলে জমি অধিগ্রহণের নীতির ক্ষেত্রে বড়সড় বদল হয়েছিল। কৃষকদের থেকে যাতে জোর করে জমি অধিগ্রহণ করা না করা হয় সে ব্যাপারে বাংলাই মডেল সারা দেশের সামনে। প্রসঙ্গত, যে তিন কৃষি আইন নিয়ে লাগাতার কৃষক আন্দোলন চলছে তাতে তৃণমূল কংগ্রেস আগেই সমর্থন জানিয়েছিল।
ডেরেক ও’ব্রায়েন, মহুয়া মৈত্রদের মতো সাংসদদের টিম পাঠানো, দিল্লির উপকণ্ঠে কৃষক জমায়েতের উদ্দেশে মমতার টেলিফোন বক্তৃতার পাশাপাশি বিধানসভায় প্রস্তাব পাশ করানো হয়েছে রাজ্যে ওই তিন কৃষি আইন রাজ্যে বাস্তবায়িত হবে না। যদিও সিঙ্গুর নিয়ে বিরোধীদের বক্তব্য, ওখানে কৃষি-শিল্প সব কিছুর সর্বনাশ হয়েছে। অনিচ্ছুক জমিদাতাদের ক্ষোভও বারবার প্রকাশ হয়েছে। লোকসভা ভোটে বিরাট ব্যবধানে সিঙ্গুরে এগিয়ে ছিল বিজেপি। যদিও একুশের বিধানসভায় বেচারাম মান্নাকে ঘরের মাঠে দাঁড় করিয়ে বাজিমাত করে তৃণমূল।
সূত্র: দ্য ওয়াল