আবারও শিশির-সুনীলের সাংসদ পদ খারিজের আর্জি সুদীপের
তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গ্যাছেন, তবুও ঘাসফুল শিবিরের টিকিটে জেতা সাংসদ আসন ছাড়ছেন না। বারবার স্পিকারকে চিঠি পাঠিয়ে ও ফোন করেও কোনও পদক্ষেপ না হওয়ায় দুঃখপ্রকাশ করেছিলেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন আবার সাংসদ শিশির অধিকারী ও পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ সুনীল মণ্ডলের পদ খারিজ করার জন্য লোকসভার স্পিকারকে ফোন করেছিলেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। দলত্যাগ বিরোধী আইনে পদক্ষেপ নিয়ে দুই বিজেপিতে যাওয়া সাংসদকে শাস্তি দিতে বারবার স্পিকার ওম বিড়লাকে আর্জি জানাচ্ছেন লোকসভায় তৃণমূলের দলীয় নেতা সুদীপ।
কিন্তু স্পিকার কোনও পদক্ষেপ না নেওয়ায় বারবার ফোন কিংবা চিঠি করছেন সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। গত ডিসেম্বর মাসে তৃণমূল ছেড়ে শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে অমিত শাহের সভায় বিজেপিতে যোগ দেন সুনীল মণ্ডল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর অন্য আরও একটি সভামঞ্চে দেখা যায় শুভেন্দু অধিকারীর বাবা তথা কাঁথির তৃণমূল সাংসদ শিশির অধিকারীকে। তাঁদের দু’জনের বিরুদ্ধেই দুটি আলাদা সময়ে স্পিকারকে চিঠি দিয়েছেন সুদীপ। কিন্তু স্পিকার বারবার জানিয়েছেন, করোনার জন্য লোকসভা বন্ধ থাকায় যেতে পারেননি তিনি, তবে চিঠির কথা জানতে পেরেছেন তিনি।
এদিন ফের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় ফোন করলে ব্যাপারটি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেন স্পিকার। কিছুদিন আগেই এই বিষয় নিয়ে তৃণমূলের তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করে জানানো হয়। বিধানসভায় তারেকশ্বর আসনে স্বপন দাশগুপ্তের হারের পর তাঁকে এই করোনার মাঝে রাজ্যসভার সাংসদ পদ ফিরিয়ে দেওয়া হল যদিও তিনি রাষ্ট্রপতি মনোনীত হলেও। কিন্তু লোকসভার স্পিকার জানুয়ারি মাস থেকে দেওয়া তৃণমূলের দলীয় চিঠি নিয়ে কোনও পদক্ষেপ গ্রহণ করছেন না কেন? একে বিজেপির দ্বিচারিতা বলেছে তৃণমূল।
সূত্র: এই মুহুর্তে