জাতীয়

দলবদলের সংক্রমণ যোগী রাজ্যেও, মায়াবতীর সঙ্গ ত্যাগ করে অখিলেশ শিবিরে ৯ বিধায়ক

দলবদলের সংক্রমণ যোগী রাজ্যেও, মায়াবতীর সঙ্গ ত্যাগ করে অখিলেশ শিবিরে ৯ বিধায়ক - West Bengal News 24

আগামী বছর নির্বাচনের আগেই উত্তরপ্রদেশ রাজনীতিত চাঞ্চল্য। খুব শীঘ্রই সমাজবাদী পার্টিতে যোগ দিতে পারেন মায়াবতীর দলের ৯ বিধায়ক। ইতিমধ্যেই সপা সুপ্রিমো অখিলেশ যাদবের সঙ্গে সাক্ষাত্‍ করেছেন ওই ৯ জন। ওই বিধায়কদের বক্তব্য, মায়াবাতীকে নিয়ে তাঁদের সমস্যা নেই। যাবতীয় সমস্যা সতীশ মিশ্রকে নিয়ে। দলে যাঁর স্থান মায়াবতীর পরেই।

এদিন সকালে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে দেখা করেন আসলাম রাইনি, আসলাম আলি চৌধুরী, মুজতবা সিদ্দিকী, হাকিম লাল বিন্দ, হরগোবিন্দ ভার্গব, সুষমা প্যাটেল, বন্দনা সিং, রামবীর উপাধ্যায়, অনিল সিং। যদিও বহুজন সমাজ পার্টির তরফে দাবি করা হয়েছে, ওই ৯ জন বিধায়ককে দল আগেই সাসপেন্ড করেছে। বস্তুত, গত একবছরে এই নিয়ে মোট ১১ জন বিধায়ককে সাসপেন্ড করল বিএসপি।

এদের মধ্যে ৭ জন রাজ্যসভা নির্বাচনের সময়ই দলের হুইপ না মেনে অখিলেশের দলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন। অথচ, তাঁদের কারও বিধায়ক পদ বাতিল হয়নি। এই ৯ জন বিধায়কের দলত্যাগের ফলে নিজের রাজ্যেই মায়াবতীর দল কার্যত শক্তিহীন হয়ে গেল। ২০১৭ বিধানসভায় বিএসপি মাত্র ১৯টি আসন জিতেছিল। এর মধ্যে ১ টি আসনে উপনির্বাচনে হারে তারা। বাকি ১৮ জনের মধ্যেও এক বছরে সাসপেন্ড হয়েছেন ১১ জন।

অর্থাত্‍ যোগীর রাজ্যে বিএসপির বিধায়ক সংখ্যা রইল মাত্র ৭। আসলাম রাইনি বলেছেন, ‘‌মায়াবতীর সঙ্গে আমাদের কোনও সমস্যা নেই। সতীশ মিশ্রকে নিয়েই যত সমস্যা। আমাদের বর্ষীয়ান নেতা রাম আঁচল রাজবর ও লালজি ভার্মার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন উনি।’‌ এদিকে কোনও বড় দলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধবে না সমাজবাদী পার্টি। বরং ছোট ছোট দলের সঙ্গেই জোট বেঁধে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচনে লড়াই চালাবেন তাঁরা।

এক সাক্ষাত্‍কারে এমনটাই জানিয়েছেন অখিলেশ যাদব। তাঁর কথায়, ‘‌কংগ্রেস, বহুজন সমাজ পার্টি (বিএসপি)-র সঙ্গে জোটে যাব না। বরং ছোট ছোট দলগুলিকে নিয়েই ভোটের লড়াইয়ে নামব।’‌ কংগ্রেস এবং বিএসপি-র হাত ধরে ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে লড়াইয়ে নেমেছিল এসপি। কিন্তু বিজেপি-র বিরুদ্ধে মুখ থুবড়ে পড়েছিল সেই জোট। মাত্র ৫টা আসন পেয়ে খুশি থাকতে হয় অখিলেশকে। তাই এবার আর কোনও ভুল করতে চাইছেন না তিনি।

এ বারও এসপি-র নির্বাচনী হাতিয়ার রাজ্যের উন্নয়ন। তাঁর কথায়, ‘‌উত্তরপ্রদেশের মানুষ রাজ্য সরকারের অব্যবস্থা এবং ব্যর্থতা নিয়ে বিরক্ত।’‌ অখিলেশের দাবি, কৃষকদের প্রতি রাজ্য সরকারের দৃষ্টিভঙ্গি, মুদ্রাস্ফীতি-এসবের বিরুদ্ধে এবার রাজ্যের মানুষ জবাব দেবেন ভোটবাক্সে।

আর মায়াবতী?‌ রাজনৈতিক মহলের ব্যাখ্য, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পর থেকেই কার্যত বিজেপির ‘বি টিম’ হিসেবে কাজ করে আসছেন মায়াবতী। বিরোধী শিবিরের কোনও কর্মসুচিতে তিনি থাকেন না। বিজেপিকে আক্রমণ করার থেকে বেশি আক্রমণ করেন কংগ্রেসকে। বিজেপির প্রতি তাঁর এই নরম মনোভাবই বিরোধী শিবিরে মায়াবতীকে কোণঠাসা করে দিচ্ছে।

সূত্র : আজকাল

আরও পড়ুন ::

Back to top button