তথাগত রায়ের ট্রয়ের ঘোড়ার তালিকায় কি আরও একটা নাম বাড়তে চলেছে? এবার অন্য সুরে গান ধরলেন শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেওয়া বর্ধমান পূর্বের সাংসদ সুনীল মণ্ডল। কী বলেছেন তিনি? বঙ্গ বিজেপির নেতাদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে সুনীলবাবু বলেছেন, ‘যাঁরা তৃণমূল থেকে এসেছে, বিজেপি তাঁদের মানতে পারছে না।
বিজেপি মনে করছে এদের বিশ্বাস করা ঠিক হচ্ছে না। ভেবেছিলাম বিজেপি সাংগঠনিক ভাবে বড় দল। কিন্তু সেরকম ভাবে পাচ্ছি না।’ এখন প্রশ্ন হল, ভোটের পর হঠাত্ এমন মন্তব্য কেন সুনীল মণ্ডলের? অনেকের মতে, হতে পারে সাংসদ পদ হারানোর ভয় পাচ্ছেন তিনি। কারণ বাংলায় যেমন মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রয়োগের ব্যাপারে তেড়েফুঁড়ে নেমেছে বিজেপি তেমন একই ভাবে সুনীল মণ্ডল ও শিশির অধিকারীর বিরুদ্ধে দিল্লিতে দৌত্য চালাচ্ছে তৃণমূল।
এদিন আবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, বলেছেন শিশিরবাবু বিজেপিতে যোগ দেননি। সমর্থন করেছিলেন মাত্র। কিন্তু দিলীপের বক্তব্যে সুনীলবাবুর নাম শোনা যায়নি। গত ১৯ ডিসেম্বর শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গেই মেদিনীপুর কলেজিয়েট ময়দানে অমিত শাহের হাত থেকে পতাকা নিয়েছিলেন বর্ধমান পূর্বের তৃণমূল সাংসদ। তার এক মাস আগের দৃশ্য মনে পড়ে? নভেম্বর মাসে সুনীল মন্ডলের মাতৃবিয়োগ হয়েছিল।
বিধানসভা থেকে ইস্তফা দিয়ে বেরিয়ে শুভেন্দু সোজা চলে গিয়েছিলেন তাঁর বাড়িতে। শুধু কি শুভেন্দু! জিতেন্দ্র তিওয়ারি, কর্নেল দীপ্তাংশু চৌধুরী—কী হতে চলেছে তার একটা ফ্রেম তৈরি হয়ে গিয়েছিল সুনীলবাবুর বাড়িতে। কিন্তু ভোট মিটতে তৃণমূল থেকে বিজেপি নেতার সুর বদল করতে শুরু করেন। এবার সেই তালিকায় নাম জুড়ল বর্ধমান পূর্বের সাংসদের।
এদিনই বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেছেন, কিছু কিছু নেতা এটা ভেবে বিজেপিতে এসেছিল যে বিজেপি জিতবে। তা যখন হয়নি তখন তাঁরা নানান কথা বলছেন। এরকম আরও অনেকে বলবেন। তাতে বিজেপির কিছু যাবে আসবে না।
সুত্র : দ্য ওয়াল