মুকুল রায় তৃণমূলে ফিরতেই তাঁর উদ্দ্যেশে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে কয়েক মাসের মধ্যে রাজ্যে দলত্যাগ বিরোধী আইন লাগু করার হবে বলে ঘোষণা করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এরপর গত সোমবার ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের সঙ্গে বৈঠক করার পর রাজভবনের সামনে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুকুল রায়কে কার্যত বিধায়ক পদ ছাড়ার সময়সীমা বেঁধে দেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
মুকুল রায়ের উদ্দ্যেশে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘দলত্যাগ বিরোধী আইন অনুসারে মুকুল রায়কে পদত্যাগ করতেই হবে। আমি ওনাকে ২৪ ঘন্টা সময় দিচ্ছি। না হলে বিধানসভার অধ্যক্ষের দ্বারস্থ হব। তাতে কাজ না হলে আইনি পদক্ষেপ করবো।’ পাশাপাশি এ নিয়ে কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদের সঙ্গেও তাঁর কথা হয়েছে বলে জানান বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আর বেঁধে দেওয়া সময়সীমা পেরিয়ে যাওয়ার পরই কৃষ্ণনগর উত্তরের বিজেপির বিধায়ক মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে এক মিনিটও দেরি করতে রাজি নন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।
সেজন্যই আজ বিধানসভায় তড়িঘড়ি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক সারলেন তিনি। বিজেপি সূত্রে খবর, তৃণমূলে ফিরে যাওয়া মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে এবার কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে বিজেপি। সেই মতই এবার মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে আইনি পথেই হাঁটতে চলেছে বিজেপি, এমনটাই সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের জন্য যে আবেদন করা হবে, আবেদনের সেই চিঠিও তৈরি হয়ে গিয়েছে। জানা গিয়েছে, বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে সেই চিঠি দেবে বিজেপি। অধ্যক্ষের কাছে মুকুল রায়ের বিধায়ক পদ খারিজের দাবি জানাবে গেরুয়া শিবির। জানা গিয়েছে, আজ এই বিষয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতার কক্ষে আইনজীবী ও দলের দুই বিধায়কের সঙ্গে বৈঠক করেন শুভেন্দু অধিকারী।
সেই বৈঠকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে সূত্রের খবর। অন্যদিকে এই বিষয় মুকুল রায় আগেই জানিয়েছেন, ‘দেখা যাক। আইন মোতাবেক সবকিছু হবে।’ আর এবার মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তত্পর বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।