স্বস্তি, রাজ্যে দৈনিক সংক্রমণ নামল ৩০০০ এর নিচে
রাজ্যে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের সংক্রমণ শৃঙ্খল ক্রমশই ভাঙছে। গত ২৪ ঘন্টায় দৈনিক সংক্রমণ তিন হাজারের গণ্ডির নিচে দাঁড়িয়েছে। একদিনে নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ২ হাজার ৭৮৮ জন। দৈনিক সংক্রমণের পাশাপাশি দৈনিক মৃত্যুও আগের দিনের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। নতুন করে প্রাণ হারিয়েছেন ৫৮ জন। আশার আলো জাগাচ্ছে পজিটিভিটি রেট অর্থাত্ নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার। গত ২৪ ঘন্টায় পজিটিভিটি রেট কমে দাঁড়িয়েছে ৫ দশমিক ৪ শতাংশে।
কড়া বিধিনিষেধ জারির ফলে মাসাধিককাল ধরেই রাজ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিম্নমুখী। শুধু তাই নয়, যেখানে একসময়ে পজিপিভিটি রেট ৩০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল, সেখানে ক্রমশই সেই পজিটিভিটি রেট কমছে। ফলে করোনার করাল থাবা থেকে রাজ্যের মুক্তিলাভ করা এখন শুধু সময়ের আপেক-ষা বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য আধিকারিকরা।
যদিও তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে আগাম প্রস্তুতি নেওয়া শুরু হয়েছে। ঝাড়গ্রামের বেশ কিছু এলাকাকে যেমন কনটেনমেন্ট এবং মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, তেমনই বারাকপুরে সাতদিনের জন্য লকডাউন জারি হয়েছে।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতর থেকে করোনা সংক্রান্ত দৈনিক বুলেটিনে জানানো হয়েছে, ‘গত ২৪ ঘন্টায় আরও ৫৫ হাজার ৩৬৭টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। নয়া নমুনা পরীক্ষায় ২ হাজার ৭৮৮ জনের শরীরে করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্যে করোনায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১৪ লক্ষ ৭৭ হাজার ৩৭ জন। মারণ ভাইরাসের ছোবলে আরও প্রাণ হারিয়েছেন ৫৮ জন। ফলে এখনও পর্যন্ত করোনার বলি হলেন ১৭ হাজার ২৪০ জন।’
তবে সক্রিয় করোনা রোগী নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে। গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে অ্যাকটিভ কেসের সংখ্যা বেড়েছে ৬১৮টি। যার ফলে মোট সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৬৯১ জনে। গত ২৪ ঘন্টায় মারণ ভাইরাসকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ১১২ জন। এ নিয়ে এখনও পর্যন্ত করোনাকে জয় করলেন ১৪ লক্ষ ৩৭ হাজার ১০৬ জন। সুস্থতার হার দাঁড়িয়েছে ৯৭ দশমিক ৩০ শতাংশে।
কলকাতা, উত্তর ২৪ পরগনা সহ করোনার তাণ্ডবে এক সময়ে বিপর্যস্ত একাধিক জেলায় গত ২৪ ঘন্টায় পরিস্থিতির আরও অনেক উন্নতি হয়েছে। উত্তর ২৪ পরগনায় দৈনিক সংক্রমণ চারশোর গণ্ডির নিচে নেমেছে। গত ২৪ ঘন্টায় জেলায় নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮৮ জন আর প্রাণ হারিয়েছেন ১৫ জন। কলকাতায় আরও ২৮৭ জনের শরীরে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।
সুত্র : এই মুহুর্তে