খেলা

নেইমারের যে রেকর্ডের সামনে এখন শুধু পেলে

Neymar : নেইমারের যে রেকর্ডের সামনে এখন শুধু পেলে - West Bengal News 24

পেরুর বিপক্ষে পুরো ম্যাচজুড়েই আলোকিত ছিলেন নেইমার। কোপা আমেরিকায় ব্রাজিলের ৪-০ গোলের জয়ে নেইমার ছিলেন দুর্দান্ত। এক গোল করা নেইমার ছাড়িয়ে গেছেন রোনালদোকে। ব্রাজিলের জার্সিতে সর্বোচ্চ গোলদাতার তালিকায় শীর্ষে থাকা পেলেকে (৭৭ গোল) স্পর্শ করতে আর ৯ গোল প্রয়োজন নেইমারের।

দেশের জার্সিতে ৬৮ গোল করা প্যারিস সেইন্ট জার্মেইের এ তারকাকে ম্যাচ শেষে ছুঁয়ে গেল আবেগ। ম্যাচ-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এসে চোখের পানি ধরে রাখতে পারেননি তিনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ব্রাজিল ফুটবলের এ মহাতারকা জানালেন, কখনোই ভাবেননি যে এতদূর আসতে পারবেন।

আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিলিয়ানদের গোলসংখ্যা নিয়ে একটা বিতর্ক সবসময়ই ছিল। অনেক সময় কেবল প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচকে বিবেচনা করা হয়। আবার কখনও কখনও দেখা যায়, প্রীতি ম্যাচ এবং অনানুষ্ঠানিক ম্যাচের গোলও হিসাবের মধ্যে রাখা হয়। ব্রাজিলিয়ান ফুটবল ফেডারেশনও একেক সময় একেক তথ্য দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করেছে। আনুষ্ঠানিক হিসাবে যেমন সাবেক ফুটবলার রোনালদোর গোলসংখ্যা হলো ৬২টি। তবে অনানুষ্ঠানিক ম্যাচ মিলিয়ে তার গোল হলো ৬৭টি।

শুক্রবার টুইটারে ব্রাজিল ফুটবল ফেডারেশন জানিয়েছে, রোনালদোকে ছাড়িয়ে নেইমারই এখন দেশটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গোলদাতা। যেভাবে খেলে যাচ্ছেন তাতে করে পেলের রেকর্ড ভেঙে ব্রাজিলের সর্বোচ্চ গোলদাতা হতে হয়তো বেশিদিন লগার কথা নয় নেইমারের। তবে ২৯ বছর বয়সী এ ফরোয়ার্ড অবশ্য এ পরিসংখ্যান নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না। ব্রাজিল ফুটবলের ইতিহাসের অংশ হতে পেরেই গর্বিত নেইমার, ‘সত্যি কথা বলতে কী, আমার স্বপ্ন ছিল কেবল ব্রাজিলের হয়ে খেলা। এই জার্সি গায়ে জড়নোও ছিল স্বপ্ন। কখনোই ভাবিনি এতদূর (গোল করা) পর্যন্ত আসতে পারব।’

গোলের তালিকায় যার পেছনে আছেন নেইমার, সেই পেলে অপেক্ষায় আছেন কখন নেইমার চূড়ায় উঠবে। ইনস্টাগ্রামে ছোট বাতায় পেলে লিখেছেন, ‘আজ সে আমার জাতীয় দলে গড়া রেকর্ডের পথে আরেক ধাপ এগোলো। যখন তাকে প্রথম খেলতে দেখেছিলাম, সে দেখার আনন্দ থেকে আমি এখন অধীর আগ্রহে অপেক্ষায় করছি কখন সে চূড়োয় পৌঁছাবে।’

গত দুই বছর ধরে মাঠ এবং মাঠের বাইরে নানা বিতর্কে নাম ছিল নেইমারের। চোটের সঙ্গেও লড়াই করতে হয়েছে তাকে। এরপর করোনা মহামারির সময়ে কষ্টে থাকা লোকের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। কঠিন সেই সময়টা মনে করে কেঁদেছেন নেইমার, ‘আমার জন্য এটা খুবই আবেগময়; কারণ গত দুই বছর অনেক জটিল ও কঠিন বিষয়ের মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে আমাকে। আমার দেশ ও পরিবারের প্রতিনিধিত্ব করে যে সুখ আমি পাই, সেসবের কাছে এই পরিসংখ্যান কিছুই নয়।’

আরও পড়ুন ::

Back to top button