প্রযুক্তি

VPN কি? ভিপিএন ব্যবহারের যে ৫টি কারণ সবার জানা উচিত

VPN কি? ভিপিএন ব্যবহারের যে ৫টি কারণ সবার জানা উচিত

VPN হল ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক। VPN এর মাধ্যমে আপনি একটা ভার্চুয়াল লোকেশন ব্যবহার করে বিশ্বের যেকোনো ওয়েবসাইট ব্রাউজ করতে পারেন।

এর আগে অনেকেই হয়তো ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) নামের এই টুলটি ইন্টারনেট ও সিকিউরিটি এর জন্য ব্যবহার করেছেন। অনেক সময় পরিস্থিতির ভিপিএন ব্যবহার করাটা জরুরি হয়ে পড়ে।

আইপি ট্র্যাকিং প্রতিরোধ:
সবচেয়ে বড় কার্যকরী উপকারিতা হল VPN আপনাকে যথেষ্ট পরিমাণ প্রাইভেসি দেবে। যখন আপনি কোনো ভিপিএন এর সাথে কানেক্টেড থাকবেন তখন ওয়েবসাইটগুলো আপনার আসল আইপি এড্রেস দেখতে পাবে না। তারা শুধু ভিপিএন এর আইপি এড্রেস দেখতে পারবে। যেহেতু অনেকেই এই সার্ভার ব্যবহার করে থাকে সেহেতু আপনাকে আলাদা ভাবে খুঁজে পাওয়া একটু কঠিনই বটে। সার্চ ইঞ্জিন ও অন্যান্য ওয়েবসাইটগুলো আপনার কাজগুলো ট্র্যাক করতে পারবে না।

পাবলিক WiFi ব্যবহারে VPN:
আরেকটি পরিস্থিতে ভিপিএন ব্যবহারের জন্য উত্তম আর সেটি হল পাবলিক ওয়াইফাই ব্যবহারে। ওপেন পাবলিক ওয়াইফাই হটস্পট হলো সেই হটস্পট যেটাতে ওয়াইফাই কানেক্ট করার জন্য কোনো পাসওয়ার্ড চাওয়া হয় না। এমনকি এটি আপনার ডিভাইস ও হটস্পটে ডাটা আদান প্রদানে কোনো রকম বাধা দেয় না। তার মানে আপনার তথ্য হ্যাকও হতে পারে যদি ফ্রি ওয়াইফাই জোন ব্যববহার করেন। ফ্রি ওয়াইফাই জোনে যদি নিরাপদ থাকতে চান তাহলে আপনার জন্য অবশ্যই ভিপিএন ব্যবহার করা বাধ্যতামূলক।

যতক্ষণ না আপনি https প্রটোকল যুক্ত ওয়েব সাইট ব্যবহার না করছেন ততক্ষণ আপনি অনেকটা হুমকির মাঝেই থাকবেন ফ্রি ওয়াই জোনে। আর এর মাধ্যমে আপনি আপনার অজান্তেই সকলকে অনুমতিও দিচ্ছেন আপনার তথ্যগুলো জানার জন্য। কিন্তু যখন আপনি একটি ভিপিএন এর সাথে যুক্ত হবেন তখন প্রত্যেকবার কম্পিউটার থেকে ডাটা যাওয়ার সময় ভিপিএন দ্বারা সেটি ইনক্রিপ্ট করা হবে।

তাই ভিপিএন ব্যবহার করলে এটা আপনার মাথা ব্যাথার প্রশ্ন হবে না যে সেটা ওপেন পাবলিক ওয়াইফাই নাকি না! কারণ কানেকশনটি সুরক্ষিত আছে। শুধু কম্পিউটার না চাইলে আপনি আপনার স্মার্টফোনেও ভিপিএন ব্যবহার করতে পারবেন।

বাইপাস স্কুল/অফিস ওয়েব ফিল্টার:
আপনার ভিপিএন আপনাকে স্কুল অথবা অফিসসমূহের ওয়েব ফিল্টার বাইপাস করতে সাহায্য করবে। ভেবে দেখুন, যখন আপনি কোনো ওয়েবসাইটে ভিজিট করতে যাবেন তখন যদি সেটা ব্লক করা দেখতে পান, কেমন লাগবে? ব্যাপারটা খুব বেশি ভালো লাগার কথা না।

ধরুন আপনার পিসিতে ইউটিউব ওয়েবসাইট ব্লক করা আছে। কিন্তু ইউটিউবে একটি গুরুত্বপূর্ণ টিউটোরিয়াল আপনার দেখা প্রয়োজন। সে সময় যদি সাইট ভিজিট করতে গিয়ে দেখতে পান যে সাইটটি ব্লক তখন কি করবেন? খুব বেশি কিছু করতে হবে না, আপনি আপনার ভিপিএন কানেক্ট করুন তারপর ব্রাউজ করুন দেখবেন খুব সহজেই আপনি ইউটিউব সাইটে চলে গিয়েছেন।

আইএসপি থ্রোটলিং অ্যাড়াতে
ইন্টারনেট সার্ভিস প্রোভাইডার (আইএসপি) থেকে যদি আপনি থ্রোটলিং হতে থাকেন তবে আপনার অবশ্যই ভিপিএন প্রয়োজন। সকল আইএসপি এমন না করলেও কিছু কিছু আইএসপি আপনার ইন্টারনেট জগতকে ছোট করে দেয়। আপনি যখন ভিপিএন ব্যবহার করবেন তখন আপনার আইএসপি আপনাকে থ্রোট করতে পারবে না। মানে বিষয়টা হল আপনাকে যে কোম্পানি ইন্টারনেট কানেকশন দিয়েছে তারা অনেক ওয়েবসাইট ব্লক করে রাখে।

সাধারণত আপনি ঐসকল ওয়েব সাইট ভিজিট করতে পারেন না। কিন্তু চাইলেই ভিপিএন কানেক্ট করে আরামসে সব কিছু ভিজিট করতে পারবেন। আর এভাবে আপনার ইন্টারনেট ব্যবহারের অভিজ্ঞতা ভালো হবে আশা করা যায়।

বিভিন্ন দেশের ব্লক ওয়েব সাইট ভিজিট:
অনেক সময় এক দেশের ওয়েবসাইট অন্য দেশে ব্লক থাকে। ধরুণ আপনি এখন বাংলাদেশে আছেন কিন্তু বাংলা আমেরিকার একটি সাইট ব্লক করা আছে। এখন যদি আপনি উক্ত সাইট ভিজিট করতে চান তাহলে আপনাকে আমেরিকা যেতে হবে। কিন্তু আপনি যদি ভিপিএন ব্যবহারকারী হল তাহলে বাংলাদেশে বসেই আমেরিকার ভার্চুয়াল লোকেশন ব্যবহার করে ঐ সাইটটি ভিজিট করতে পারেন। আবার আমাদের দেশে মাঝে মাঝে ফেসবুক ব্লক করে দেয়া হয়। সেক্ষেত্রে আপনি ভিপিএন এর মাধ্যমে আমেরিকা গিয়ে ফেসবুক চালাতে পারবেন বাংলাদেশে বসে থেকেই।

সব থেকে ভালো ভিপিএন:
আপনি যদি গুগল এ সার্চ দিয়ে দেখেন তাহলে অনেক ভিপিএন এর নাম দেখতে পাবেন। তবে এসকল ভিপিএন এর মাঝে আমি Hotspot Sheild (ক্রোম এক্সটেনশন) কিংবা NordVPN (ক্রোম এক্সটেনশন) ব্যবহারের পরামর্শ দেব। নর্ডভিপিএন এর কিছু অত্যাধুনিক ফিচার আছে।

তাছাড়া এদের অপশনগুলো অনেকটা ফ্রেন্ডলি হওয়ায় এটা ব্যবহার বা অপারেট করতে খুব বেশি সমস্যা হয় না। এদের মাঝে ডাবল ভিপিএন সার্ভার আছে যেটা আমার অনেকটা ভালোও লেগেছে। এটা ব্যবহার করা অনেক সহজও। তাছাড়া এই ভিপিএন কম্পিউটারের পাশাপাশি স্মার্টফোনেও ব্যবহার করা যায়। স্মার্টফোনের ভিপিএন এর অপশনগুলোও অনেকটা কম্পিউটার ভিপিএন এর মতোই।

আরও পড়ুন ::

Back to top button