কে বেশি সেয়ানা, কুকুর না বিড়াল! গবেষণায় চাঞ্চল্যকর তথ্য
কুকুরে-বেড়ালে বনে না—এই প্রবাদ আমরা জানি। কিন্তু এর যে ব্যত্যয়ও হয়, তা-ও আমরা জানি। কুকুরে-বেড়ালে মাখামাখির কথাটা বোধ হয় সবথেকে বেশি বোঝান ইংরেজরা। তা নইলে কেন তাঁরা বলবেন, ‘অ্যাট ক্যাটস অ্যান্ড ডগস বৃষ্টি হচ্ছে’? বাঙালি অতটা ভাবে না। কারণ তার পাতের পাশে ম্যাও রাতের পাশে ভৌ চিরন্তন সত্য হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। কিন্তু চেতনে অবচেতনে এ কথা কি আমরা কখনও ভাবিনি, কে বেশি সেয়ানা—কুত্তা, নাকি বিল্লি?
কুকুর প্রভুভক্ত, বিশ্বস্ত আর বেড়াল বিশ্বাসঘাতে পোক্ত—এমন ভ্রান্তিবিলাসে বাঙালি কেন, দুনিয়ার অনেকেই ভোগেন। কিন্তু তাদের মধ্য কে বেশি সেয়ানা, সেটা নিরূপণ করে ওঠার অবকাশ কেউই এতদকালে পেয়েছেন বলে মনে হয় না। এই তর্কের মীমাংসা করতেই এগিয়ে এলেন কিছু বিজ্ঞানী।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ‘পিওরওয়াও.কম’-এ প্রকাশিত প্রতিবেদন থেকে জানা যাচ্ছে, ‘ফ্রন্টিয়ারস ইন নিউরোঅ্যানাটমি’ জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণা প্রবন্ধে দেখানো হয়েছে, যদি বুদ্ধিবৃত্তির সূচক মস্তিষ্কের নিউরন-সংখ্যা হয়ে থাকে, তা হলে বেড়ালরা কিন্তু পিছিয়ে রয়েছে কুকুরদের থেকে। গবেষকদের মতে, কুকুরের কর্টিক্যাল নিউরনের সংখ্যা ৫৩০ মিলিয়ন, সেখানে বেড়ালের মাত্র ২৫০ মিলিয়ন।
এ থেকে এই সিদ্ধান্তে বিজ্ঞানীরা সিদ্ধান্তে এসেছেন, বেড়ালের চাইতে ঢের বেশি জটিল কাজ কুকুররা করতে সমর্থ। জানা নেই, এই খবরে কুকুররা কতটা খুশি হল। পোষ মেনেও না মানা মেনি-হুলোর দল কি ব্যাঙ্গের হাসি হাসল? একটু অবজার্ভ করে জানান তো।