মুসলমান বাড়ির মেয়ে হয়ে হনুমান মন্দিরের প্রসাদ খেয়েছেন নুসরত, কটাক্ষ দিলিপের
আজ নিউটাউনে নিজের বাড়িতে সাংবাদিক বৈঠকে বসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি আজ সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, পুরনো কর্মীরা পার্টি ছেড়ে যাবো বলেনি দিলীপ ঘোষ বলেন ,তৃণমূল সরকারে থাকাকালীন ভোটের আগে তৃণমূলের এমপি, মন্ত্রীরা দল ছেড়েছিল । বিজেপির তো এখনও সেই দুর্দশা আসেনি। আমরা স্বপ্ন পূরণ করতে পারিনি।
তাই অনেকেই হতাশ হয়েছেন। আবার যা অত্যাচার চলছে তাতে অনেক কর্মীর মনোবল হারিয়েছে। কিন্তু পুরনো কর্মীরা পার্টি ছেড়ে যাবো বলেননি। কোভিড কেলেঙ্কারিতে আড়াই হাজার কোটি টাকা লুঠ হয়েছে আলাপনের ইচ্ছায় আজ দিলীপ ঘোষ বলেন, কে সত্ অসত্ জানা আছে। গত ‘বছর কোভিড কেলেঙ্কারিতে আড়াই হাজার টাকার লুঠ হয়েছে তারই ইশারায়। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এর চোখের সামনে সবকিছু হয়েছে। কোনো কিছু আটকানোর চেষ্টা করেননি।এই রকম বহু ঘটনা রয়েছে তদন্ত হচ্ছে বেরোবে। তাঁকে সামনে রেখে যারা লুঠপাট করেছে তারা এখন কষ্ট পাচ্ছেন।
নুসরতের বিয়ে হয়নি তো বৌভাত কি করে হল: দিলীপ ঘোষ নুসরত প্রসঙ্গে আজ বলেন, যার বিয়ে হয়নি তাঁর বউ ভাত কি করে হল? মুখ্যমন্ত্রী বউ ভাত খেয়েও এলেন। সিঁদুর পড়ে, টিপ পড়ে সারা জায়গায় ঘুরে ঘুরে ভোট নিয়ে গেলেন। উনি মুসলমান বাড়ির মেয়ে আপত্তি নেই, কিন্তু হনুমান মন্দিরে প্রসাদ খাচ্ছেন। একজনকে স্বামী সাজিয়ে ঘুরেছিলেন। লোককে বোকা বানিয়ে এমপি হয়েছেন। এর বিচার হওয়া উচিত।
রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে অ্যাটেম টু মার্ডার কেস হওয়া উচিত: আজ রাহুল গান্ধী সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, কেন্দ্র করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলা করতে পারেনি দেশে বহু মানুষ মারা গেছে। পাল্টা দিলীপ ঘোষ বলেন রাহুল গান্ধী ডাক্তার নাকি। লোক জানে তাঁর প্রতিভা সম্পর্কে। যখন ভ্যাকসিন এল তখন তাঁরা বলে বেরিয়েছিলেন মোদী ভ্যাকসিন। আমরা গিনিপিক নাকি নেবো না। লোকে ভ্যাকসিন নেয়নি তার জন্য মারা গেছে। রাহুল গান্ধী লোককে বিভ্রান্ত করেছিলেন তাই তাঁর বিরুদ্ধে অ্যাটেম টু মার্ডার কেস হওয়া উচিত। রাহুল গান্ধীকে লোকে রিজেক্ট করেছে ।
মণ্ডল প্রেসিডেন্টরাই বাড়িতে ঢুকতে পারেনি: ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন এখনও প্রচুর কর্মী ঘরছাড়া। মণ্ডল প্রেসিডেন্টরাই ঘরে ঢুকতে পারিনি। দেড় মাসের বেশি হয়ে গেল তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। কয়েক হাজার লোক এখনও বাড়ির বাইরে রয়েছে। ১১ হাজারের মত কেস আমাদের কাছে এসেছে। সেই কেসের এক হাজারও ওনারা এফআইআর করতে পারেনি বলে অভিযোগ তোলেন দিলীপ ঘোষ।
সূত্র : প্রথম কোলকাতা