চিন ক্রমশ আমাদের কাছে ভয়াবহ বিপদের কারণ হয়ে উঠছে। অথচ কেন্দ্রের নরেন্দ্র মোদী সরকার চিনা সেনাদের আগ্রাসন রুখতে সেই অর্থে ব্যবস্থাই নিচ্ছে না। চিনা সেনাদের ভারতের মাটিতে আগ্রাসন রুখতে ব্যর্থ হয়ে বসে রয়েছে মোদী সরকার। এবারে এভাবেই কেন্দ্রীয় মোদীর সরকারের বিরুদ্ধে ভয়ঙ্কর অভিযোগের আঙুল তুললেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী।
তিনি বলেন, চিনা সেনার আগ্রাসন রুখতে কেন্দ্রের মোদী সরকার ব্যর্থ হয়েছে বলেই চিনা সেনারা ক্রমশ ভারতের অভ্যন্তরে ঢুকে পড়ছে। আজ শুধু লাদাখ নয়, অরুণাচল প্রদেশ, সিকিম, উত্তরাখন্ড সহ ভারত ও চিনের মধ্যে থাকা প্রায় চার হাজার কিলোমিটার সীমান্ত জুড়ে চিনা ফৌজের ভূমিকা আমাদের দুঃশ্চিন্তার কারণ হয়ে দেখা দিয়েছে।
অধীর চৌধুরী বলেন, লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে ১৮ কিলোমিটার ভারত ভুখন্ডে ঢুকে চিনা সেনারা বসে আছে। অথচ কেন্দ্রের মোদী সরকার চুপচাপ রয়েছে। কোনও পদক্ষেপ নিচ্ছে না। এর ফলে চিনা সেনারা আরও আগ্রাসী হয়ে উঠছে। স্বাভাবিকভাবেই অধীর চৌধুরীর এই অভিযোগের পরেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে।
যেখানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে বলা হয়েছে, চিনা সেনারা ভারত ভুখন্ডে প্রবেশ করতে পারেনি, সেখানে দাঁড়িয়ে অধীর চৌধুরীর এই বক্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। একই সঙ্গে বাংলায় বিজেপি সাংসদদের বাংলা ভাগের প্রসঙ্গেও বিজেপিকে তীব্র আক্রমণ করেন অধীর চৌধুরী।
তিনি বলেন, বাংলার মাটিতে বিজেপি একটি সংকীর্ণ রাজনীতি করার চেষ্টা করছে। এর আগে বাংলা ভাগ হয়েছে। কিন্তু আমাদের বিশ্বাস বাংলা আর ভাগ হবে না। একইসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলার মাটিতে রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় (Jagdeep Dhankhar) যা করছেন তাতে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রিপতির কাছে আবেদন করা উচিত রাজ্য সরকার এবং রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের।
কিন্তু তৃণমূলের এতজন সাংসদ থাকা সত্বেও তারা রাষ্ট্রপতির কাছে গিয়ে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে কোনও আবেদন করছেন না। কি কারণে করছেন না তা ধোঁয়াশার ব্যাপার। শুধুমাত্র রাজ্যের শাসক দলের তরফে বাংলায় বসেই রাজ্যপালের বিরোধীতা করে বিবৃতি দেওয়া হচ্ছে।
সূত্র : প্রথম কলকাতা