পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে আজ ফের জলোচ্ছ্বাস সুন্দরবনে, নবান্ন থেকে জারি সতর্কতা
গত বছর মে-তে আমফানের তাণ্ডবে তছনছ হয়ে গিয়েছিল সুন্দরবনের বিস্তীর্ণ এলাকা। ধসে পড়েছিল ভিটেমাটি। বাঁধ ভেঙে নোনা জল ঢুকে বিঘের পর বিঘে ক্ষেতের ফসল ডুবে গিয়েছিল অথৈ জলে। তার রেশ কাটিয়ে না উঠতেই ফের ইয়াসের ধাক্কায় তছনছ হয়ে যায় সুন্দরবন এলাকার বিস্তীর্ণ এলাকা।
ইয়াসের পর যে সব জায়গায় নদীর বাঁধ ভেঙে গিয়েছিলো সেগুলি মেরামত করতে শুরু করেছিলো সেচ দপ্তর।নামখানা সাগর,পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, গোসাবা,কুলতলি ব্লকের ভাঙ্গন এলাকাগুলিতে উপর বিশেষ নজর রেখেছিলো জেলা প্রশাসন।
এবার পূর্ণিমার ভরা কোটালের জেরে জলস্ফীতির আশঙ্কায় রয়েছে সুন্দরবন ও উপকূল এলাকায়। ইতিমধ্যেই নবান্নে থেকে এ বিষয়ে সতর্কতা জারি করে জেলা প্রশাসনকে সব ধরণের পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। আর এই কারনেই উপকূল এলাকায় মাইকিং এর মাধ্যমে সতর্কতার কারনে প্রচার শুরু হয়। জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে ইতিমধ্যেই নামখানা ব্লকের মৌসুনি দ্বীপ,এবং উপকূল এলাকা থেকে প্রায় সাড়ে তিন হাজার মানুষকে ত্রাণ শিবিরে সরানো হয়েছে।
পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের নির্দেশ মেনে সাগর ব্লকের ভাঙন কবলিত ঘোড়ামারা দ্বীপ থেকে মানুষগুলিকে সরিয়ে আনা হয়েছে মূল ভূখণ্ডে।জোরকদমে কাজ এগোলেও জলস্ফীতির জেরে বাঁধ উপচে জল ঢুকে ফের নতুন করে সমস্যা তৈরি করতে পারে সুন্দরবনে। তাই আগে ভাগেই সমুদ্র উপকূলবর্তী এলাকার মানুষগুলির জন্য ত্রাণ সংগ্রহ করে রাখা হয়েছে।
পাশাপাশি প্রতিটি মহকুমায় নাগরিক প্রতিরক্ষা দল প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এবং কন্ট্রোল রুম থেকে সমস্ত পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হবে বলে জানা গেছে।
সুত্র : প্রথম কলকাতা