রাজ্য

দেবাঞ্জনের অপরাধের অন্তহীন লিস্ট, ‘ কেউ কিছুই কি জানতো না’, উঠছে প্রশ্ন

দেবাঞ্জনের অপরাধের অন্তহীন লিস্ট, ‘ কেউ কিছুই কি জানতো না’, উঠছে প্রশ্ন - West Bengal News 24

কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনকাণ্ডে প্রকাশ্য়ে এসেছে দেবাঞ্জনের অন্তহীন অপরাধের লিস্ট । এদিকে ইতিমধ্য়েই প্রধান অভিযুক্ত দেবাঞ্জনের সঙ্গে শাসকদলের ছবি প্রকাশ্য়ে এসেছে। আর তারপরেই সেই ছবিকে হাতিয়ার বানিয়ে নিশানা করছে রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নের্তৃত্ব। ‘কিছুই কেউ কি জানতো না’, প্রশ্ন তুলল বিরোধীরা।

ইতিমধ্য়েই দেবাঞ্জনের একের পর এক অপরাধের প্রকাশ্য়ে এসেছে। দেবাঞ্জনের নীল বাতির গাড়িতে পাওয়া গিয়েছে বিশ্ব বাংলার লোগো। পুরসভার অফিসারদের সই জাল করা ব্যাঙ্ক অ্য়াকাউন্ট, নবান্নের জাল লেটারহেডে ব্য়াক্তিগত রক্ষী নিয়োগ ইতিমধ্যেই পর্দাফাঁস হয়েছে। নিজেকে পুরসভার যুগ্ম কমিশনার হিসেবে পরিচয় দিয়ে এসেছেন এতদিন ধৃত।

তবে গল্প এখানেই শেষ নয়, ভ্যাকসিন নিয়ে প্রচুর খেটেছেন ভুয়ো আইএএস। শিয়ালদহ থেকে কোভিশিল্ড, স্পুটনিকের জাল লেবেল ছাপানো,কসব সহ একাধিক জায়গায় সরকার ব্যানার টাঙিয়ে ভুয়ো টিকাকরণ শিবির,টিকা দেওয়ার নামে সংস্থার নামে ১.১১ লক্ষ টাকা হাতানো, স্টেডিয়ামের বরাত নেওয়ার নামে ৩৬ লক্ষ টাকা নেওয়া, টেন্ডার পাইয়ে দেবার নামে বেহালার এক ব্যাবসায়ীর থেকে ১০ লক্ষ টাকা নেওয়া-এসবের কীতৃত্বও রয়েছে জেনেটিক্সে এমএসসি করা গুণধর দেবাঞ্জনের।

প্রসঙ্গত, কলকাতা পুরসভার দাবি, কসবার ভুয়ো ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পে দেওয়াই হয়নি কোভিশিল্ড বা কোভ্য়াক্সিন। এবিষয়ে নিয়ে ডেপুটি সিএমওএইচ জানিয়েছেন, সাধারণত কোভিশিল্ড ভ্যাকসিনের ভায়ালে ব্যাচ নম্বর, এক্সপেয়ারি ডেট, ম্যানুফ্যাকচারিং ডেট লেখা থাকে। কিন্তু দেবাঞ্জনের অফিস থেকে উদ্ধার হওয়া টিকাগুলির মধ্যে কিছু ভায়ালে ব্যাচ নম্বর, ম্যানুফ্যাকচারিং এবং এক্সপেয়ারি ডেট মেলেনি।

শিশির আয়তনও তুলনামুলকভাবে ছোট। লেখা ছিল না কোম্পানির নম্বরও। এদিকে বরো চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘এত টিকা কোথা থেকে এল, তা জানি না।’ আর এখানেই প্রশ্ন তুলেছে বিরোধিরা,তবে কিছুই কি জানতো না প্রশাসন।’

সূত্র : এশিয়া নেট

আরও পড়ুন ::

Back to top button