উত্তর দিনাজপুর

ইটাহারে নিজের শ্বশুরবাড়িতে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ!

ইটাহারে নিজের শ্বশুরবাড়িতে গণধর্ষণের শিকার গৃহবধূ! - West Bengal News 24

লাগাতার শ্বশুর, ভাশুর, ও ২ দেওরের দ্বারা গণধর্ষিত হচ্ছিলেন তিনি। স্বামীকেও তা জানিয়েছিলেন। কিন্তু বিশ্বাস করেননি তিনি। শেষে ধর্ষণের সেই ঘটনার প্রমাণ রাখতে গোপনে নিজের মোবাইলে ধর্ষণের ভিডিও করে তা স্বামীকে দেখান ওই গৃহবধূ। নিজের বাবা সহ দাদা আর ভাইদের দ্বারা নিজের স্ত্রীকে ধর্ষিত হওয়ার প্রমান দেখে প্রতিবাদ করেন স্বামী। কিন্তু তাতে লজ্জা পাওয়া তো দূরের কথা ওই গৃহবধুর স্বামীকে মারধর করে বাড়িতেই একটি ঘরে বন্দী করে রাখলেন শ্বশুর।

কোনক্রমে সেই শ্বশুরবাড়ি থেকে পালিয়ে এক আত্মীয়র সাহায্য নিয়ে নিজের ধর্ষিত হওয়ার ভিডিও সহ থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন গৃহবধু। এমনই অভিযোগে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ সদর মহকুমার ইটাহার এলাকায়। অভিযোগ পেয়েই পুলিশ অবশ্য ওই গৃহবধুর শ্বশুর ও ২ দেওরকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে। তবে অভিযুক্ত ভাসুর পলাতক।

জানা গিয়েছে, গত ৮ মাস আগে ওই গৃহবধূর রেজিস্ট্রি করে বিয়ে হয়। প্রথমে সব ঠিকই ছিল। কিন্তু বিগত প্রায় মাস তিনেক আগে গৃহবধূর স্বামী কাজ করতে বাইরে যাওয়ার পর ওই গৃহবধু শ্বশুরের দ্বারা ধর্ষিত হয় বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ এই কথা কাউকে জানালে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হুমকিও দেন শ্বশুর কৈলাশ চৌধুরী।

গৃহবধু এই ঘটনা স্বামীকে জানালেও স্বামী বিশ্বাস করেনি। এর ক’দিন পরেই ওই গৃহবধূর ভাশুর তাঁকে ধর্ষণ করে গৃহবধূর অভিযোগ। এরপর প্রায়দিনই ধর্ষনের ঘটনা ঘটতে থাকে। গৃহবধুর অভিযোগ কখনও শ্বশুর, কখনও ভাসুর রঞ্জিত চৌধুরী কখন দেবাশিষ, সুভাষ নামের দেওররা বাড়ি ফাঁকা পেলেই তাঁকে ধর্ষণ করতো। অভিযোগ এইসব কাউকে জানালে গৃহবধূকে খুন করার হুমকিও দেওয়া হতো।

শুক্রবার ওই গৃহবধু নিজের মোবাইল লুকিয়ে রেখে সেই মোবাইলে শ্বশুরের ধর্ষন করার ভিডিও তুলে রাখেন। তারপর তা দেখান স্বামীকে। গৃহবধুর স্বামী শনিবার এই ঘটনার প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকে মারধর করে বাড়ির একটি ঘরে আটকে রাখে তাঁর বাবা, দাদা ও ভাইয়েরা।

গৃহবধূ সেই সুযোগে বাড়ি থেকে পালিয়ে পাশের গ্রামে নিজের বাপের বাড়ির দিকের এক আত্মীয়র সাহায্য নিয়ে ইটাহার থানায় লিখিত অভিযোগ করে। থানায় জমা দেয় সেই ধর্ষণের ভিডিও। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ বাহিনী গিয়ে শ্বশুর কৈলাস, ও দুই দেওর দেবাশিষ চৌধুরী ও সুভাস চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে। পালাতে সক্ষম হয় ভাসুর রঞ্জিত চৌধুরী। তার খোঁজে তল্লাশী শুরু করেছে ইটাহার থানার পুলিশ। এই ঘটনা জানাজানি হতেই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ইটাহার এলাকায়।

সূত্র: এই মুহুর্তে

 

আরও পড়ুন ::

Back to top button